চাঁদপুর কল্যানপুরে রাস্তার পাশে সরকারি গাছ কর্তন করে নেওয়ার অভিযোগ,খবর পেয়ে জব্দ করলো ইউপি সচিব
মোঃ জাবেদ হোসেনঃ প্রতিনিধি চাঁদপুর:
চাঁদপুর সদর উপজেলা ৩ নং কল্যাণপুর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড এর দুয়ারি খাঁন বাড়ির সামনে সরকারি রাস্তার দুই পাশের মূল্যবান গাছ কেটে নিলো ওই এলাকার মৃত ফজল খাঁন ছেলে মোঃ মিয়ার খাঁন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, জৈনিক মিয়ার খাঁন নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার দুই পাশের ১ টি চাম্বুল গাছ, এবং খাল পারের ২ টি রেন্ডি কড়ই গাছ কেটে নিওয়ার সময় নিজের গাছ বলে দাবি করে। শুধু তাই নয় এই গাছ তার বলে, তিনি সরকারি ভাবে গাছ গুলো কেটে নেওয়ার অনুমোদন নিয়েছে।আর সেই অনুমোদন পএ দেখতে চাইলে তিনি একটি আবেদন পত্র নিয়ে আশে,এতে দেখা যায় আবেদন পত্রটি চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২০১৩ সালে গাছ কর্তনের জন্য ।
কোন এক মুক্তি যোদ্ধার সহযোগিতায়, গাছ কাটার অনুমোদন দিলেও তিনি কোন টেন্ডার রশিদ বা কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। বিগত ১ যুগ পূর্বে ২০১৩ সালে গাছ কাটার আবেদন করেছেন। এখন ২০২৫ সাল তাহলে সেই আবেদন পত্রটির বৈধতা আছে কি। সরকারি অনুমতি ছাড়া গাছ কর্তন করতে পারবে না। কিন্তু কোন ক্ষমতা বলে মোঃ মিয়ার খাঁন এসব গাছ গুলি কর্তন করছেন।
এদিকে গাছের বিষয় গণ্যমাধ্যম কর্মীরা মোঃ মিয়ার খাঁন কাছে জানতে চাইলে তিনি সাধারণ মানুষে উপস্থিতে খারাপ আচরন করেন। বলে আপনারা পারলে কিছু করেন, আর আমি আমার গাছ কাটছি বলেই, পারলে কিছু করেন। তিনি তার মুঠোফোন থেকে কোন এক বাহিনীর বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে কথা বলতে বলেন।তিনি আরো বলেন আমাকে কিছুই করতে পারবেন না আপনারা যা মনে চায় তা করেন।
এ বিষয়ে কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ফজলুর রহমান ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিশুকে বিষয়টি অবহিত করলে।তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কর্তনের সত্যতা পান ও গাছগুলো ওয়ার্ড মেম্বারে হেফাজতে রাখা হয়।
এদিকে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান গাজী বলেন, আমি গ্রাম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কর্তন বন্ধ করেছি এবং গাছের টুকরো গুলি জব্দ করে, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হেফাজতে রেখেছি।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মিশু দেবনাথ বলেন, আমি খবর পাওয়া সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সরকারি গাছ গুলি কর্তন করা হয়েছে।
এবিষয়ে চাঁদপুর সদর সহকারী কমিশনার ভূমি আল এমরান খাঁন বলেন, বিষয়টি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইউনিয়ন সচিব ও ভূমি কর্মকর্তা কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাখাওয়াত জামিল সৈকত এর সরকারি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
কোন এক বাহিনীর কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে দিনে দুপুরে গাছ কর্তন করে নিচ্ছে বলে এলাকাবাসী অনেকেই বলেন।
তবে জব্দ কৃত গাছ গুলি ওই এলাকায় থাকবে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। আর তাই জব্দকৃত গাছ গুলি ইউনিয়ন কার্যালয়ে নিয়ে আশার দাবি সচেতন মহল। অন্যদিকে আরো জানা যায় গত কয়েক সপ্তাহে ওই রাস্তায় ছোট বড় প্রায় ১০-১৫ টি সরকারি গাছ কর্তন নিয়েছে অজ্ঞাত এলাকার মানুষ।