দাবি না মানলে স্কুলে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষকদের

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক: শাহাবাগ, ঢাকা।
সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে রাজধানীর শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে স্কুলে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে একটি সংবাদ সম্মেলন করে রাজধানীর শাহবাগ থানা ফটকের বিপরীত পাশের সড়কটি ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক প্রতিনিধি মনিবুল হক বসুনিয়া বলেন, আগামী ৩১ তারিখ এ বিষয়ে গঠিত কনসাল্টেন্ট কমিটি তাদের প্রতিবেদন দেবে। আমরা তার ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেব। আজ আমাদের সমাবেশে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ড. আতিক মুজাহিদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তারা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, ৩১ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আমরা সারাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা দেব। সেটা হতে পারে, আমরা স্কুলে তালা দিয়ে দেব। আমাদেরকে যেন তা করতে বাধ্য করা না হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক প্রতিনিধি খায়রুন নাহার লিপি বলেন, আমাদের উপস্থিত শিক্ষকরা আজই আমরণ অনশনে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু ৩১ তারিখ কনসাল্টেশন কমিটি রিপোর্ট প্রদান করবেন তাই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আমাদের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের যেন কোনো ধরনের হয়রানি করা না হয়। এই আন্দোলন নিয়ে রোববার কেউ যদি প্রহসনের চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা ৩১ তারিখের আগে গড়ে তুলব। কোনো শিক্ষকের কিছু হলে আমরা সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক ঝাপিয়ে পড়ব।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদলকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফিরে হতাশা প্রকাশ করেন আন্দোলকারী এ শিক্ষকরা।
কার্যালয় থেকে ফিরে তারা শুরুতে শাহবাগে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন। পরে এ কর্মসূচি থেকে সরে আসেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ফিরে শিক্ষক প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যেতে চেয়েছিলাম যমুনা অভিমুখে। কিন্তু আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। এখানে কাদের সাথে কথা বলব। সেখানে কেউ নেই। আমরা সেখানে গিয়েছি আলোচনা করতে। আমাদেরকে তারা বললেন পত্রগ্রাহকের কাছে আমাদের স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা তা প্রত্যাখান করে চলে এসেছি। এভাবে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
খাইরুন নাহার লিপি বলেন, আমাদের শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এসময় সেখানে শাহবাগে রাতে অবস্থান করার ঘোষণা দেন খায়রুন নাহার লিপি। তবে প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার পর তারা ৭ দিন আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে চাকরির বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেড করার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ সমাবেশ করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দুপুরের পর তারা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হন। পরে শাহবাগে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *