সাংবাদিকদের ওপর চোরাকারবারিদের হামলা, মামলা দায়ের।

মোঃ আরিফুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার,
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তে সাংবাদিকদের ওপর চোরাকারবারিদের হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।

২৪ জানুয়ারী ২৫ শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, বুধবার রাতে সীমান্ত এলাকার মেঘাদল বাজারে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে এক বালু দস্যুকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা করা হয়।

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- শেরপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মনিরুজ্জামান রিপন এবং দেশ রূপান্তরের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শফিউল আলম সম্রাট।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বালুর ট্রাকে মাদক বহনসহ নানা অপকর্মের খবর পাওয়া যায়। এনিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে বুধবার ওই চারজন সাংবাদিক একটি প্রাইভেটকার নিয়ে শ্রীবরদী সীমান্ত এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে যান। খবর সংগ্রহ শেষে রাতে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকা শয়তান বাজার (মেঘাদল বাজার) মোড়ে তাদের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করেন স্থানীয় বালু দস্যু মাসুদ, আলামিনসহ ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় অস্ত্রধারী চোরাকারবারি।

এসময় তাদের প্রাইভেটকার ভাংচুরের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় সারাদিনের সংগ্রহ করা সংবাদ নষ্ট করতে তাদের সাথে থাকা একটি ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ভেঙে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে চোরাকারবারিরা অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং সাংবাদিকদের আটক করে রাখে।

পরে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে চোরাকারবারিরা মোটরসাইকেল এবং দৌড়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়।

শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো শ্রীবরদী সীমান্তে রাত নামলেই অবৈধ বালুর গাড়িতে মাদক পাচার হয়। আমরা সেখানে গিয়ে এটার সত্যতা পেয়েছি এবং ভিডিও ধারণ করেছি। সীমান্ত এলাকার গডফাদার বালু দস্যু মাসুদ ও তার বাহিনী প্রতিরাতেই মেঘালয় সীমান্ত ছুঁই ছুঁই এলাকা থেকে ইজারা বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন ও মদ-ফেনসিডিল পাচার করে থাকে। ট্রাকে মাদক পাচারকালীন সময়ে ভিডিও ধারণ করলে চোরাকারবারিদের ক্রোধে শিকার হতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাসুদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ বলেন, আমি খবর পেয়ে পুলিশ এবং সীমান্ত এলাকায় টহলে থাকা ডিবিকে পাঠিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করি। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *