ডাকাত দলের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র ও পিকআপসহ জব্দ

সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা।
প্রথমে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি ব্যাটারির দোকানে এবং এটি ব্যর্থ হলে হরিণটানার একটি গরুর খামারে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিলো তাদের। এই দু’টি মিশন সফল করতে ১০/১২ জনের ডাকাত দু’টি পিকআপ নিয়ে নগরীতে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয় এ চক্রের ২ সদস্য এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি রাম দা, ১টি কাটার, ১টি লোহার পাইপ, ২টি রডসহ একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান মিঠু।

আটক হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকার বরকত উল­াহর ছেলে ইয়াদ আলী (৩০) এবং মোরেলগঞ্জ উপজেলার চুলিগাতি এলাকার মৃত এ্যাকেন আলীর ছেলে শেখ সুমন ওরফে মিজান (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানতে পারে একদল ডাকাত সোনাডাঙ্গা এলাকায় ডাকাতি করতে প্রবেশ করছে। তারা ব্যাটারির দোকানে ডাকাতি করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ময়ূর ব্রিজ এলাকায় চেকপোষ্ট বসানো হয়। পুলিশের তল­াশীর দেখে একটি পিকআপ ইউটার্ন নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশও তাদের পিছু নেয়। ডাকাত বহনকারী পিকআপটি নগরীর জিরো পয়েন্ট হয়ে রূপসা ব্রিজের দিকে যায়। তারা ব্রিজের বেরিকেড ভেঙে রূপসা উপজেলার কুদির বটতলা এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সোনাডাঙ্গায় তাদের তাদের ডাকাতি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে পরবর্তী টাগেট ছিল হরিণটানা থানা এলাকা। সেখানে তাদের গরুর খামার ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল। তাদের সাথে আরও একটি পিকআপ ছিল। যেটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এই পিকআপে আরও ৬/৭ জন ডাকাত ছিল। রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলা, বাগেরহাট জেলা ও ঝিনাইদহ জেলায় ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাত দলের প্রধান মিজানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৮টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ৫/৬ গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *