অসদাচরণ কী তা বুঝলাম না: ইসি রফিকুল

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: নির্বাচন কমিশনের সচিব (ইসি) বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্তে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন করেছেন ৪২ নাগরিক। শনিবার এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা। তাদের অভিযোগে বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিবিন্ন গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হয়েছেন। কশিমনের সদস্যরা একদিকে গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মে যুক্ত হয়েছেন, যা অভিশংসনযোগ্য অপরাধ। একইভাবে তারা বিভ্ন্নিভাবে আইন ও বিধিবিধানের লঙ্ঘন করে গুরুতর অসদাচরণ করে চলেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া আবেদনে পত্রিকায় প্রকাশিত আর্থিক অনিয়মের খবর, কর্মচারী নিয়োগে প্রধান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আরেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারেরি করা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, তিনজন নির্বাচন কমিশনের তিনটি গাড়ি ব্যবহার, ইভিএম কোনা ও ব্যবহারে অনিয়ম, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অসদাচরণ, অনিয়মসহ বিবিন্ন অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অনিয়মের কোনা বিষয় না। প্রশিক্ষক হিসেবে বলা হয়েছে, সকাল ৭টায় শুরু করে ১১টি উপজেলা কাভার করে আসছি। কেউ যদি মনে করেন তাহলে সেই ছবিগুলো দেখুক ছবি আছে।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অসদাচারণ কী কা বুঝলাম না। তাদের সেই সময় বিষয়গুলো তুলে ধরা উচিত ছিল। আর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেতে পারতেন তারা।’
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিভিন্ন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসা অবসরপ্রাপ্ত সচিব আকবর আলি খান, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পারভীন হাসান, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না, শাহদীন মালিক, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *