কালীগঞ্জে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কিশোরীর অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধারের মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফেতার করল ঝিনাইদহ র্যাব-৬
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কেয়া খাতুন নামের এক কিশোরী বধুর অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধারের মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফেতার করল ঝিনাইদহ র্যাব-৬। জানা গেছে ১৬ মার্চ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, র্যাব-৬’র একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বজলুর রশীদেও নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার হাসাদা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার একজন এজাহার নামীয় আসামী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের সলেমানের ছেলে মিলন হোসেন (২৬) গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য কালীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। মিলন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার মামলা নং- ১৫, তারিখঃ ১৩/০৩/২০২০ইং। ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড এর এজাহার নামীয় আসামী। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কেয়া খাতুন নামের এক কিশোরী বধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের মাঠের একটি কলাক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কেয়া খাতুন উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে। সে বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। স্বজনরা জানান, প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে বাড়িতেই ছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার দিকে বাড়ী থেকে সে নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে কেয়া খাতুনের কোন খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুরে দাদপুর গ্রামের মাঠে তার অর্ধ-গলিত লাশ পাওয়া যায়। নিহত’র পিতা আব্দুস সামাদ জানান, পহেলা মার্চ তার মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত ২৬ ফেব্রয়ারী তার মেয়ে নিখোঁজ হয়। যাওয়ার সময় বাড়িতে রাখা তার বিয়ের খরচ বাবদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তিনি বলেন, কালীগঞ্জ থানায় জিডি করলে পুলিশ ত্রীলোচাঁদপুর গ্রামের আজগার হোসেনের ছেলে আজিমকে আটক করে। পরে চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। আব্দুস সামাদ অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে ত্রীলোচাঁদপুর গ্রামের আজিম, সলেমানের ছেলে মিলন ও আশাদুলের ছেলে ইস্রাফিল হত্যা করেছে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানার ভাষ্য মতে এই হত্যার সাথে মিলন নামে এক যুবক জড়িত থাকতে পারে। তাকে ধরলেই এই হত্যার রহস্য বের হতে পারে। মিলনই কেয়াকে হত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করছি। এদিকে গ্রামবাসি জানায়, বিয়ে হওয়ার পরও কেয়া গ্রামের কিছু যুবকের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। হয়তো কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে। সেই সুত্র ধরেই কিলার গ্রুপটি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কেয়াকে হত্যার পর তার কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে। নিহত কেয়ার পিতা জানান, মোবাইলের কল লিস্ট যাচাই করলেই কারা এই হত্যার সাথে জড়িত তা বেরিয়ে পড়বে।