হরিণাকুনডুতে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে দুই ভুয়া সাংবাদিক গ্রেফতার


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বাজারে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করা কথিত সাংবাদিক দম্পতি লিটন মিয়া ও আনোয়ারা পারভিন হ্যাপী এবার বিস্তর গ্যাড়াকলে পড়েছে ! ভারতের কলকাতা ও আকাশ টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে এই দুই ভুয়া সাংবাদিক এবার জনতার হাতে আটক হয়েছে। পরে তাদের ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন, শৈলকুপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের জিয়ারত ডাক্তারের ছেলে লিটন মিয়া ও রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নড়িয়া গ্রামের ইসলাম মোল্লার মেয়ে আনোয়ারা পারভিন হ্যাপী। ১৬ই আগষ্ট বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই চাঁদাবাজীর ঘটনা ঘটে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, বুধবার লিটন মিয়া ও আনোয়ারা পারভিন হ্যাপী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দুর্লভপুর সরকারী প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের নিকটে চাঁদাবাজী করতে যায়। গত ২৬ জুলাই এই দুইজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয়। আজ আবার তারা দুইজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে এসেছিল চাঁদাবাজী করতে। শিক্ষকদের সন্দেহ হলে তারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানায়ে ভুয়া সাংবাদিক লিটন মিয়া ও আনোয়ারা পারভিন হ্যাপীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানিয়েছেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা সাংবাদিক নয়, তারা মুলত কলকাতা ও আকাশ টিভির পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজী করতে এসেছিল। তাই তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছি। আটক আনোয়ারা পারভিন হ্যাপী পুলিশেকে জানিয়েছে, তার স্বামীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার বড় বোয়ালিয়া গ্রামে। স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এ কারণে শৈলকুপার গোলকনগর গ্রামের লিটন মিয়ার সাথে ভাটই বাজারে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাবাজী করেন। এ ব্যাপারে বুধবার দুপুরে হরণিাকুন্ডু থানায় ভুয়া সাংবাদিক লিটন ও হ্যাপীর নামে দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। ভুয়া সাংবাদিক লিটন মিয়া ইতিপুর্বে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে হরিনাকুন্ডুতে ও কুষ্টিয়ায় পুলিশের হাতে গেফতার হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *