মোল্লাহাটে মেয়ে পক্ষের হামলায় ছেলের ভগ্নিপতি নিহতের মামলায় হয়রানি আতঙ্কে এলাকাবাসী

এম এম মফিজুর রহমান , মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মেয়ে পক্ষের হামলায় ছেলের ভগ্নিপতি নিহতের মামলায় হয়রানি আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার আংরা এলাকায় গত ১২ এপ্রিল বিয়ের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়েকে দেখে ছেলের পছন্দ না হওয়ায় মেয়ে পক্ষের হামলায় ছেলের ভগ্নিপতি নিহতের মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় নিরাপরাধ এলাকাবাসীর মাঝে এ আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে ওই এলাকার কাচনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব হোসেন মুন্সি (৭৫), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য হাদি মুন্সি (৬৫), জনৈক আবদার মুন্সি (৪৬), সুমন মুন্সি (৩০), স্বপন মুন্সি (৪৫), সাব্বির (৩০) ও রুমা (৩৬) সহ অনেকে জানান, তাদের বংশের শাহাদাত মুন্সি দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পূর্বে নিজ গ্রাম ছেড়ে পাশের আংরা গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করছেন। ঘটনার দিন তার মেয়ের বিয়ে/অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের কিছু্ই জানা ছিলো না, তাই তাদের বংশের কেউই সেখানে উপস্থিত বা কোন ঘটনার সাথে জড়িত ছিলনা। যেহেতু একই এলাকা তাই ওই দিন ঘটনার পর রাতে তারা জানতে পেরেছেন যে, শাহাদাত মুন্সির আত্মীয় যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যা সকল প্রকার তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যাবে। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্থানীয় নিরাপরাধীদের হয়রানি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ফলে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল মোল্লাহাট উপজেলার আংরা গ্রামে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসে পছন্দ না হওয়ায় মেয়ের পরিবারের হামলায় নিহত হন ছেলের ভগ্নিপতি আজিজুল হক মোল্লা (৪৫)। এ হামলায় শিশু – নারী সহ ছেলে পক্ষের আরো ১০ জন আহত হয়। ১২ই এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আংরা গ্রামে মেয়েদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজুল হক মোল্লা খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত হোসেন মোল্লার ছেলে ও গাংনী মাতাচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর জামাই।

ছেলে পক্ষ জানায়, গাংনী ইউনিয়নের দফাদার ও গাংনী মাতারচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুরের সাথে আংরা গ্রামের শাহাদাত মুন্সির মেয়ে সার্জিনার বিয়ের জন্য পারিবারিক ভাবে দেখা শোনা হয়। হাফিজুর ঢাকা একটি কোম্পানিতে চাকরি করায় সরাসরি দেখা না হলেও ছবি এবং ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের মতে শুক্রবার ছেলে মেয়ের সরাসরি দখা এবং পছন্দ হলে ওই দিন বিয়ে (কাবিন) হওয়ার কথা ছিল। যথারীতি ওই দিন ছেলে সহ ২৭ জন মেয়ের বাড়িতে যায়। কিন্তু মেয়ে পক্ষ বিয়ের জন্য কাবিন রেজিষ্ট্রার এনে রাখে। এরপর মেয়েকে দেখে অপছন্দ করে ছেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই বাড়ি থেকে ফিরে আসার সময় চলা (জ্বালানী কাঠ ) ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় মেয়ে পক্ষ। এতে তাদের একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়।

থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম জানান, একটা বিবাহের ঘটনা কেন্দ্র করে মেয়েকে পছন্দ না করায় উভয় পক্ষের হাতাহাতি পরে মারামারি হয়। এতে ছেলের দুলাভাই নিহত হয়। এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি শাহাদাত মুন্সিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরাপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সেইভাবে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *