শেরপুর নকলায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে বাবার মৃত্যু

মোঃ আরিফুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় পিপড়ী গ্রামে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ৫মেরবিবার সকালে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পিপড়ী গ্রামের সন্তান মোকলেছুর রহমান সোহেল (২৩) কে বাঁচাতে গিয়ে পিতা আব্দুর রহমান পচন (৪৮) বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মোকলেছুর রহমান একজন অটোরিকশা চালক, তার অটো গাড়িটি চার্জে ছিল, সকাল বেলা রিক্সা চালানোর উদ্দেশ্যে চার্জারটি খুলতে গেলে কারেন্টে আটকে যায় সোহেল। তার স্ত্রী টের পেয়ে তরীঘরী করে মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন, সাথে সাথে মোকলেছুর ছিটকে পড়ে এবং সে অজ্ঞান হয়ে যায়। ছেলের করুন অবস্থার খবর শুনতে পেয়ে মাঠে কাজ করা বাদ দিয়ে তার বাবা আব্দুর রহমান ভেজা শরীরে দৌড়ে বাড়ি আসে। বাড়িতে এসেই ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কোথাও গাড়ি না পেয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে যাবে বলে মেইন সুইচ বন্ধ করে আসে।ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী আগেই ইলেকট্রিক মেইন সুইস বন্ধ করে দেন। তাড়াহুরা করে বাবা মেইন সুইস বন্ধ না করে বন্ধকৃত মেইন সুইসটি চালু করে দেন। মেইন সুইচ আগেই বন্ধ করা ছিলো, সেটা না বুঝেই বন্ধ করতে গিয়ে মেইন সুইচ সে চালু করে দেয়। গাড়ি বের করার উদ্দেশ্য গাড়িতে হাত লাগাতেই কারেন্টে ধরে ফেলে তখন বাড়ির সবাই তার ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কেউ বুঝতে পারেনি আব্দুর রহমান পচন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে।স্বামীকে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ অবস্থায় দেখে স্ত্রী তরীঘরী করে মেইন সুইচ আবার বন্ধ করে।

বাবা ছেলেকে একসাথে নকলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবা আব্দুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে সুহেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে জান। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন।

ঘটনাস্থল এসপি সার্কেল ইকরামুল হোসেন শেরপুর পরিদর্শন করেন।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *