বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ কেশবপুরে বিভিন্ন হোটেলে চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী খাদ্য পরিবেশন
আবু হাসান, কেশবপুর (যশোর) : কেশবপুর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের হোটেল রেস্তোরা গুলোতে চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরী। খাদ্য খেয়ে বিভিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এছাড়া অধিকাংশ হোটেলেই নেই আর্সেনিক মুক্ত পানির ব্যবস্থা। তবে দু’একটি হোটেলের ক্যাশ টেবিলের নীচে রাখা মালিকের জন্যে পানির বোতল থেকে সজন প্রীতি থাকার সুবাদে দু’একজনকে কিছুটা আর্সেনিক মুক্ত পানি কোন-কোন সময় খেতে দেয়া হয়। স্যানিটেশনের এ দুরাবস্থা বছরের পর বছর চলে আসলেও প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেই। কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যে ২৭ টি হোটেল রেস্তোরা রয়েছে বলে পৌরসভার স্যানিটারী অফিসার আব্দুল আজিজ জানান। এছাড়া পৌর শহরের বাইরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আরও প্রায় ৪৫ টি হাট বাজারে রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল রেস্তোরা। এসব হোটেল রেস্তোরার মধ্যে অধিকাংশই লাইসেন্স বিহীন। কর্মচারীদের নেই স্বাস্থ্য সনদ। যদিও কেশবপুর হাসপাতাল ও পৌর সভার দু’জন স্যানিটারী অফিসারের বিরুদ্ধেও রয়েছে হোটেল রেস্তোরার মালিকদের নিকট থেকে বছরে এক দু’বার ২থেকে ৩শ’টাকা, দোকানের কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ করে দেওয়ার কথা বলে এক থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়ে আসেন বলে অনেকেই জানান। এরপরও হোটেল রেস্তোরা গুলোতে রয়েছে অব্যব্যস্থাপনা, পঁচা বাসি খাদ্য বিক্রি যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। উপজেলার বেশকিছু হোটেল রেস্তোরায় সরেজমিনে দেখা গেছে সামনের দিকে কিছুটা পরিস্কার পুরিছন্ন থাকলেও পেছনে চলছে ছ্যাত-ছ্যেতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নাসহ অন্য সব কাজ। ইতিপুর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ মাঝে মধ্যে প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতাবলে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় অভিযান চালিয়ে অব্যবস্থাপনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী পঁচাবাসি খাদ্য পরিবেশনের অভিযোগে ১ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করলেও বর্তমানে এসব হোটেল গুলির ব্যাপারে প্রশাসনের নেই কোন মাথা ব্যাথা । যার ফলে কেশবপুরের অনেক মানুষ আর্সেনিক যুক্ত পানি পান ও পঁচাবাসি খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে। আলতাপোল গ্রামের আবু হাসান হোটেলের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন কয়েকদিন আগে পৌর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে খেয়ে আমি পেটের পিড়ায় ভুগেছি। এসব পচাবাসি খাদ্য সরবরাহকারী অসাধু হোটেলের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মানুষ।এব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভার স্যানিটারী অফিসার আব্দুল আজিজ জানান ইতোমধ্যে দু’জন হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শুরু করেছি। উপজেলা স্যানিটারী অফিসার সুশান্ত দত্ত বলেন প্রমান পেলে অসাধু হোটেলের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।