লোহাগড়ায় বেবী গাজী হত্যাকান্ডের আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় বর্বরচিত বেবী গাজী হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি প্রদানের দাবিতে শনিবার দুপুরে ধলইতলা গ্রামে নিহত রাইজুর রহমানের (বেবী গাজী) নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে নিহত রইজুর রহমানের (বেবী গাজী) ছেলে মো. রাজীব গাজী সাংবাদিকদের জানান, ধলইতলা গ্রামের গাজী রইজুর রহমান ওরফে বেবী গাজী ছিলেন একজন প্রতিবাদি মানুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় প্রতিবাদ করেছেন। যে কারনে একটি মহল তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল।
ধলাইতলা গ্রামের চাঁন গাজীর ছেলে তুষার গাজী ও তুষার গাজীর স্ত্রী লাকি বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সন্ত্রাসী বাহিনি গঠন করে এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার করে শান্তি প্রিয় লোকদের জি¤িœ করে রেখেছিল। আমার পিতা উক্ত সন্ত্রাসী তুষার গাজী গংদের অবৈধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় এবং বিগত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্ধিতাকারি সন্ত্রাসীদের লালনকারী লাকী বেগমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এবং লাকি বেগম পরাজিত হওয়ায় সেখান থেকে তুষার গাজী, লাকি বেগম গং আমার পিতাকে খুন করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ২৮/১১/২০১৫ তারিখে আমার পিতা লোহাগড়া থেকে কাজ শেষ করে মটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একই গ্রামের মোরশেদ গাজী ও নওশের শেখের বাড়ির মাঝামাঝি পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই আসামি লাকি বেগম, তুষার গাজী, কুটি মিয়া, শাহীন গাজি, ওহিদুল গাজি, ভাষান গাজী, মিন্টু গাজী, ইমান গাজী, দীপু শেখ,সোহাগ গাজী,শাওন গাজী, ইমদাদুল শেখ, আল আমিন শেখ, বরকত গাজী, বিল্লাল শেখ, সেকেন্দার শেখ, নুরু গাজী, লাবলু শেখসহ ৩৫/৪০জন সন্ত্রাসী বন্দুক, রামদাও, চাপাতি, চাইজি কুড়াল, ছ্যনদা, লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে, আমার বাবার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং তারা কুপিয়ে, পিটিয়ে, হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনার পর আমি বাদি হয়ে ৩০/১১/২০১৫ তারিখে লোহাগড়া থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ২০। মামলা দায়েরের পর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমাদের প্রতিপক্ষ আসামী সন্ত্রাসীরা হত্যাকান্ডের ঘটনা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য ০৩/১২/১৫ তারিখে লোহাগড়া থানায় ধলইতলা গ্রামের শান্তীপ্রিয় লোকজনদের নামে একটি মিথ্যা লুটপাট ও ভাংচুরের মামলা দায়ের করে। মামলা নং ০৬। হিনতের ছেলে সম্মেলনে আরও জানান, আমার পিতা খুন হন ২৮/১১/১৫ তারিখে। লাশের পোষ্টমর্টেম ও দাফন সম্পুন্ন হয় ২৯/১১/১৫ তারিখে। প্রতিক্ষ সন্ত্রাসীরা ২৯/১১/১৫ তারিখে তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রামের শান্তীপ্রিয় লোকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। প্রকৃত পক্ষে আমরা সহ গ্রামের শান্তীপ্রিয় লোকজন তখন লাশের দাফন নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম। হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে বেশ কিছুদিন ধলাইতলা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তাই ভাংচুর ও লুটপাটের প্রশ্নই ওঠে না। উল্লেখ্য ২৯/১১/১৫ সন্ধ্যা পর্যন্ত লোহাগড়া থানা প্রশাসন ওই গ্রামেই অবস্থান করছিল। সম্মেলনে মোঃ রাজিব গাজী প্রশাসনের নিকট আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারসহ হয়রানি মূলক প্রতিপক্ষের দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে আমাদের অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *