১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করলেন বিদিশা
সহকারী প্রতিনিধি
মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. মামুনুর রশিদসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে এ মামলা হয়েছে। শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক সদস্য ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর ও মনিরুজ্জামান টিপু। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা গত ২২ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদিশা সিদ্দিক এবং তার পুত্র সন্তান শাহাতা জারাব এরিক এরশাদের বিরুদ্ধে মানহানি, আপত্তিকর বিভ্রান্তিকর অপমানজনক মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন।
এর আগে ২১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’ বিষয়ক অনিয়ম নিরসনে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের জন্য দরখাস্ত করেন এরিক এরশাদ। এতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, একাধিকবার আসামি কাজী মো. মামুনুর রশিদ এবং ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সময়ক্ষেপন ও তালবাহানা করছেন এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাস্টের হিসাব বুঝিয়ে দেননি। তারা।ট্রাস্টের অনিয়মকে বৈধ করার জন্য বেআইনিভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।কাজী মো. মামুনুর রশিদ দীর্ঘদিন যাবৎ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের অর্থ ইচ্ছামতো নিয়মবহির্ভূতভাবে খরচ করে আসছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এরিক এরশাদ অসুস্থতা থাকা স্বত্ত্বেও ট্রাস্টের সভাপতি ও সদস্যরা তাকে অর্থ প্রদান না করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ট্রাস্টের অর্থ লুটপাঠ করেছে। লুটপাটের প্রতিবাদ করায় বিদিশা দিদ্দিকের বিরুদ্ধে আসামিরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপমানজনক সাংবাদিক সম্মেলন করে বক্তব্য দেন। এতে তাকে কলঙ্কিত ও কালিমা লেপন করা হয়েছে। বিদিশা ও তার ছেলে এরিক এরশাদ জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক অপমানিত এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
যার ক্ষতির পরিমান ১০০ কোটি টাকা। বিদিশার সুনাম, সুখ্যাতি বিনষ্ট করার উদ্দেশে সংবাদ সম্মেলন করে তার ব্যক্তিগত সুনাম বিনষ্ট করে। তিনি মানসিক, আর্থিক, সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও সম্মানহানীর শিকার হয়েছেন।