কয়রা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন পুলিশ হত্যা মামলায় খুনিদের আড়াল করে বাদী ও স্বাক্ষীদের নামে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় প্রতিবাদ

8আশারাফ(কয়রা): কয়রার চাঞ্চলকর পুলিশ হত্যা মামলায় সিআইডি’র তদন্ত কর্মকর্তা খুনিদের আড়াল করে মামলার বাদী ও স্বাক্ষী স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের নাম জড়িয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় প্রতিবাদ। সোমবার সকাল ১১.০০ টায় কয়রা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কয়রার দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা ফজর আলী মোড়ল সহ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে জানান, জামায়াত ইসলামের নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে হরতালের সময় ২০১৩ সালে ৪মার্চ গোলখালী গ্রামে জামায়াত শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা মিছিল নিয়ে হামলা চালায় আ’লীগ নেতা কর্মীদের বাড়ীতে। এসময় তারা বাড়ী ঘর ভাংচুর, দোকান লুটপাট, রাস্তায় গাছ ফেলে এবং বোমা ফাটিয়ে আত্মংক সৃষ্টি করেন। জামায়াত নেতা গনি সরদার ও বিএনপির রশিদ মেম্বরের নেতৃত্বে এসব হামলা চালানো হয়ে মারাত্মক জখম হয় আ’লীগ নেতা নূরুল আমিন (৪৮) ফজর আলী মোড়ল (৫৫), মাসুদ রানা (৩০), জাফর মোল্যা (৫০) সহ অনেকে। অত:পর মারাত্মক জখম অবস্থায় তাদের প্রথমে খুলনায় এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসা করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ কয়রা থানায় জামায়াত শিবির ও বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ৩টি মামলা রেকর্ড করেন যার নং- ৫, ৬ ও ৭, তাং- ০৫/০৩/১৩ এবং এসব মামলার বাদী স্থানীয় আ’লীগের ক্ষতিগ্রস্থ নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় উক্ত ৩ মামলার আসামীদের ধরতে ৯মার্চ রাতে পুলিশ গোলখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটকের পর খবর পেয়ে জামায়াত নেতা গনি সরদার গোলখালী বায়তুন আকসা মসজিদ থেকে গভীর রাতে মাইকে ঘোষনা দেয়। পুলিশ তাদের লোকজন আটক করেছে। তোমরা দা, লাঠি, কুড়াল নিয়ে এসো। এরপর জামায়াত বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী ছুটে এসে ধৃত ৩জনের মধ্যে ২জনকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং এলোপাতাড়ী গুলি চালাতে থাকে। এসময় পুলিশের কনেষ্টবল মফিজুল ৪৭ গুলিবৃদ্ধ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। অভিযোগে জানাযায় এ হত্যা কান্ডের জন্য কয়রা থানার এস.আই মোমিনুর প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ৮জনকে এজাহার ভুক্ত এবং ২৫/৩০ জন কে অজ্ঞাত করে এক হত্যা মামলা করেন। যার নং- ৮, তাং- ১০/০৩/২০১৩ ইং। অত:পর মামলাটি অজ্ঞাত কারণে খুলনার ডি.আই.ডি পুলিশের উপর তদন্ত ভার ন্যস্ত হলে সিআইডি’র পরিদর্শক হায়াত আলী দীর্ঘদিন পর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন অথচ তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদী মোমিনুরের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ না করে শুধু মামলার স্বাক্ষী স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের স্বাক্ষ্য নিয়েছেন বলে জানানো হয়। এছাড়া বাদী মোমিনুর ঐ সময় বিবিসি রেডিও সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে স্বাক্ষাৎকালে জানিয়েছিল আসামী ছিনিয়ে নেওয়া, মাইকে ঘোষনা দেওয়া এবং পুলিশের উপর গুলিবর্ষনের কথা। কিন্তু সিআইডির পরিদর্শক হায়াত আলী পূর্বের ৩ মামার বাদী এবং হত্যা মামলার স্বাক্ষী আ’লীগ নেতা ৩ বার নির্বাচিত মেম্বর নাছের আলী তায়জুল, আছের আলী রিপন রউফ শেখ ও পরিতোষের নাম উল্লেখ করে ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যাহা জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসী ও খুনীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় পুলিশ পরিদর্শক হায়াত আলী কয়রা থানা বিএনপির এক নেতার খুলনার বাসায় বসে বিশাল অর্থের বিনিময়ে খুনিদের আড়াল করে আ’লীগ নেতাদের নতুন করে মামলায় জড়িয়েছে। যে কারণে তারা হায়াত আলীর বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্য এবং মামলার পুন: তদন্ত চেয়ে মহা-পুরিশ পরিদর্শক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *