যমুনা সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব পেল চায়না রোড এন্ড ব্রিজ কর‌পো‌রেশন

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি রাহিদ রানা : টাঙ্গাইলে দে‌শের অন্যতম বৃহৎ যমুনা সেতুর টোল ও রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণের দা‌য়ি‌ত্ব পে‌য়ে‌ছে নতুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রোড এন্ড ব্রিজ কর‌পো‌রেশন (সিআরবিসি)।

শ‌নিবার (৩১ আগষ্ট) দা‌য়িত্ব পে‌য়ে রাত ১২টা ১ মি‌নি‌টে তারা সেতুতে দা‌য়িত্ব শুরু ক‌রে। এতে প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা কমে দরদাতা হিসেবে চায়না রোড ও ব্রিজ কর্পোরেশন (সিআরবিসি) যমুনা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণ কাজের অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পায়। আগামী ৫বছর তারা তাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা এই দায়িত্ব পালন করবে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলা‌দেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, ৭৪ কো‌টি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৬২১.১৫ টাকা প্রাক্ক‌লিত টাকার সর্বনিম্ন দরদাতা হি‌সেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রোড ও ব্রিজ কর্পোরেশন (সিআরবিসি) কোম্পানী‌কে ৫৯ কো‌টি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৪ দশ‌মিক ১৪ টাকা মূল্যে কার্যা‌দেশ দেয়া হয়। ফলে প্রাক্কলিত মূল্য হতে সরকারের ২০.২১% অর্থ্যাৎ ১৫ কো‌টি ১১ লাখ ৩৩ হাজার ১১৭ টাকা সাশ্রয় হয়। এতে ওই কোম্পানী পরবর্তী ৫ (পাঁচ) বছর সেতুর টোল আদায় ও পরিচালনা কার্যক্রম তাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা পরিচালনা করবে।

বাংলা‌দেশ সেতু কর্তৃপ‌ক্ষের যমুনা সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয়ী হলেও টোল কমানোর কোন সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত টোল আদায় করতে হবে। ডিজিটাল সফটওয়্যার এর মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে। টোল থেকে কোন যানজট সৃষ্টি হয়না। অনেক সময় অতিরিক্ত গাড়ি টোলে চলে আসায় একটু সমস্যা হয়। সেটা বেশিক্ষণ থাকেনা।

বাংলাদেশ সেতু কতৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, ইতোম‌ধ্যে কার্যা‌দেশ পে‌য়ে রাত ১২টার পর থে‌কে নতুন কোম্পানি টোল আদায় শুরু করেছে। প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫কোটি টাকা সাশ্রয়ে মূল্যে ৫বছরের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে তারা চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা এবং যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি পারাপার করা যাবে। এখানে অনলাইনে টোল দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রত্যেকটা লাইনে ব্যবস্থা থাকবে। ব্যবহারকারী যদি টোল কালেকশন সিস্টেমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে তাহলে টোল পারাপারের সময় তারা অনলাইনে টোল দিতে পারবে। সরাসরি টোলের ব্যাংক একাউন্টে টাকাটা জমা হয়ে যাবে। এতে টোলে কোন ট্রাফিক জ্যাম হবে না। একদিকে সরকারের ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অন্যদিকে জনগণও কম সময়ে দ্রুততার সহি টোল প্লাজা দিয়ে পার হয়ে যেতে পারবে।

উল্লেখ, গত ২০১৮ সাল হ‌তে বাংলা‌দেশ সেতু কতৃৃপক্ষ (বি‌বিএ) ২০২৪ আগষ্ট পর্যন্ত যমুনা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণের দা‌য়িত্বে ছিল। দীর্ঘ ৬বছর পর নতুন কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান‌কে দা‌য়িত্ব দিল সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *