ঘাটাইলে স্বামীর বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি রাহিদ রানা : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জেমি আক্তার (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর রোববার সকালে মনিরকে গ্রেফতার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। মনির সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে।
শনিবার (২৯, জুন) রাত সন্ধা ৬টায় উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেমি উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। তাদের সোহান(২) নামে একজন পুত্রসন্তানও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় , মনির পেশায় একজন শ্রমিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিককলহ আগে থেকেই ছিলো। শনিবার সন্ধায় গৃহবধূ রান্না করতে ছিলো। এ সময় ছেলে সোহান কান্নাকাটি করলে স্বামী মনির হোসেন স্ত্রীর সাথে জিদকরে ঘরে নিয়ে তলপেটে লাথি, কিলঘুসি মারে ও গলায় চেপে ধরে।এসময় গৃহবধূ জেমি প্রসাব ও মলত্যাগ করে দেয়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রথমে জেমিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ২ টা ৩০ মিনিটে জেমি মারা যান।
নিহতের জেমির বড় বোন নাছিমা বলেন, গত ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে মনিরের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। এবং সে চার মাসের গর্ভবতী। বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে নির্যাতন করতো।এর আগেই কয়েকবার গ্রামের মাতাব্বর নিয়ে শালিসকরে মিমাংশা করে দেওয়া হয়েছে। জেমিকে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো মনির। আমার বোনকে হত্যার দৃষ্টান্তমূ্লক বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বিষয়টা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর এলাকাবাসী ঘাতক মনিরকে নিজ বাড়িতেই বেধে রেখেছিলো। পরে আমরা থানায় খবর দিয়ে মনিরকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছি।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত স্বামী মনিরকে গ্রেপ্তারের করা হয়েছে । মনিরের মাকেও আমাদের হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধিন।