বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দামও বাড়ল
ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বেড়েছে। একই সঙ্গে শিল্প-কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের (শিল্প-কারখানার গ্যাসভিত্তিক নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র) গ্যাসের দামও প্রতি ঘনমিটার ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। তবে বাসাবাড়িতে, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধি চলতি মে মাস থেকে কার্যকর হবে।
এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ আরো বাড়বে। ব্যয় বাড়বে শিল্প-কারখানার পণ্য উৎপাদনেও।
আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দর ঘোষণা করে। বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র (আইপিপি), ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম ছিল প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
এখন বেড়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিল্প-কারখানার গ্যাসভিত্তিক নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রে (ক্যাপটিভ) সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম ছিল ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা। সেটি বেড়ে এখন ৩১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।
তখন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫ টাকা ২ পয়সা ঘনমিটারে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে করা হয় ১৪ টাকা। শিল্প খাতের গ্রাহকদের ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা করা হয়।
সরকারি, বেসরকারি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় গ্রাহক পর্যায়ে আরো কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার শিল্প খাতে নতুন করে গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্য উত্পাদন খরচও বাড়বে বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে।
তারমধ্যে মোট গ্যাস সরবরাহের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উত্পাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্পাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ভর্তুকি দিতে হবে ৬ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা।