কাজী এন্ড কাজী টি এষ্টেট ডিভিশন ইনচার্জ মো. কবির হোসেন আকন্দের দূর্নীতির খতিয়ান
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি, মো. হাসান আলী মিঞা : মো. আসির উদ্দীন নামক জনৈক ব্যক্তি সুদীর্ঘ দশ বছর যাবত কাজী এন্ড কাজী টি এষ্টেট দর্জিপাড়া ডিভিশনে বাগান সহকারি পদে অধিষ্ঠিত থেকে স্বীয় দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসেছেন। এদিকে মো. কবির হোসেন আকন্দ, দর্জিপাড়া ডিভিশন ইনচার্জ ব্যাপক দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেছেন। ফলশ্রুতিতে তিনি কোম্পানীর বিরাট ক্ষতিসাধন করছেন মর্মে বাগান সহকারি তাকে সংশোধন হওয়ার নিমিত্তে যথোপযুক্ত নীতিবাক্য বিনিময় করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। এক পর্যায়ে উহা হীতে বিপরীত হয়ে দাড়ায়। অর্থ্যাৎ চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। চোর উল্টা কুতুয়াল কো ডাটতা হ্যায়। এক পর্যায়ে ডিভিশন ইনচার্জ বাগান সহকারি কে দুরবর্তী জায়গায় চা কারখানায় বদলী করেন। মো. কবির হোসেন আকন্দের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই এক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সব ব্যাপারেই অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নি¤œরুপ : ১। ২০১৩ সনে প্লেনটেশন বাবদ অতিরিক্ত খরচ দেখিয়েছেন ১৬০০০/- টাকা। ২। সাপ্তাহিক দৈনিক মজুরী দেখিয়েছেন ৭০০০/- টাকা, অর্থ্যাৎ প্রতি মাসে ২৮০০০/- টাকা। ৩। বাগানের গাছ কেটে বিক্রয় করেছেন ১০১৫০০/- টাকা, অথচ কোম্পানীর তহবিলে জমা করেছেন মাত্র ৩৫০০০/- টাকা। ৪। একই বছর চুপিসারে ৭০ লিটার ডিজেল বিক্রয় করে উহা আত্মসাৎ করেন। ৫। আদা বপন দেখিয়ে অতিরিক্ত ১০০ কেজি বীজ আদা বাবদ প্রাপ্ত টাকা আত্মসাৎ করেন। ৬। ২০১৪-১৫ সালে আরোও ১৫০ কেজি বীজ আদা ক্রয় মিথ্যা ভাউচার প্রণয়ন পূর্বক কোম্পানীকে রিপোর্ট প্রদান করেন। ৭। ২০১৪ সালে ২০ জন শ্রমিকের ঈদ বোনাস প্রদানের নিমিত্তে অর্থ উত্তোলণ করেন অথচ কাউকে উহা প্রদান করেন নি। এমনি ভাবে উপরিউক্ত ব্যক্তি কোম্পানী বিভিন্ন খাত থেকে টাকা আত্মসাৎ করে চলছেন। যা নাকি পুকুর চুরির বদলে সাগর চুরি বলা চলে। তাই বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রতিকার হওয়া বাঞ্চনীয়।