সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন, আদেশ অবমাননা করে পূনরায় কাজ শুরু, ক্ষমতার উৎস কোথায়?
মোতালেব হোসেন: সৈয়দপুর ও পার্বতীপুরের রেল ফিল্ড কানুনগো অফিস ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক সৈয়দপুরে অবৈধ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ৭ই জানুয়ারী ২০২১ গণ বিজ্ঞপ্তি জারী করেন। বিজ্ঞপ্তিটি শহরের বিভিন্ন মোড় ও দেয়ালে লাগিয়ে দেয়া হয় এবং পাশাপাশি ম্ইাকিং করেও বিষয়টি সবাইকে জানানো হয়। এমনকি গত বছর ২০২০ সালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট সৈয়দপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য আসলে সৈয়দপুরের তৎকালীন নেতা মরহুম আকতার হোসেন বাদল দ্রুত ঢাকায় গিয়ে রেল মন্ত্রীর সাথে দেখা করে ১৫ দিনের সময় নিয়েছিলেন কিন্তু ১৫ মাসেও অবৈধ দখলদারেরা ১টি ইটও সরায়নি।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১শে মার্চ ২০২১ সালে রেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সরকারে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে জনাব নুরুজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সৈয়দপুরের রেলওয়ের ২৬.২১ একর জমি উদ্ধার ও কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা প্রকাশ্য নিলাম করেন। নিলাম গৃহীতারা নিলাম নিলেও অদ্যাবধী কোন স্থাপনাই ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়নি, স্থাপনাগুলির মধ্যে অন্যতম জিকরুল হক রোডে রেলের এসপি অফিসের সামনে প্রেসক্লাব সংলগ্ন লেটেষ্ট মডেলের ষ্টীল বীম দিয়ে আধুনিক মানের একটি ছয়তলা ভবন নির্মান কাজ চলাকালে ভ্রাম্যমান আদালত উক্ত ইস্পাত নির্মানাধীন ভবনটি ছয়লক্ষ টাকায় জনৈক আবু নাসের বাবু চৌধুরী নিলামে ক্রয় করেন।
নিলামের শর্ত মোতাবেক কার্যাদেশ পাও্রয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ভবনটি অপসারন করে রেল কর্তপক্ষকে জায়গাটি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তা না হয়ে ভবনটি পূনরায় নির্মান করে চলেছেন এবং পরেরদিনই আদালত কর্তৃক ভবন নিলাম বিক্রির প্রতিবাদে আদালতের রায় অবমাননা করে জনৈক ভবন নির্মানকারী প্রবাল আদেশের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেন। এবং পরবর্তীতে দেখা যায় এবং শোনা যায় যে, মোটা টাকার বিনিময়ে কতিপয় নেতার চাপে নিলাম গৃহীতা ভবনটি পূনরায় অবৈধ দখলদারকে ছেড়ে দেয় বলে জানা যায়। এব্যাপারে রেলের কানুনগো অফিস সূত্রে কথা বললে তারা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুরে যে রেলের জমি রয়েছে সে জমি থেকে প্রকৃতভাবে রেল কোন প্রকার খাজনা পায়না অথচ সঠিকভাবে খাজনা আদায় করলে বাৎসরিক ৬০ কোটি টাকা আয় হবে বলে তিনি জানান। কিন্তু স্থানীয়ভাবে বাজার দর হিসাবে সেটি ১০০ কোটি উপরে বলে জানান ব্যাবসায়ীরা।
তিনি আরো জানান উচ্ছেদ অভিযান বিরুদ্ধে মানববন্ধনকারী নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার দিনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর সাথে খারাপ আচরনকারী কতিপয় ব্যাক্তি ও রেলের জমিতে সুবিধাভোগী প্রভাশালী নেতার বিরুদ্ধে দূদকে লিখিত অভিযোগ দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে এবং উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।