মুজিববর্ষেই পদোন্নতি পাচ্ছেন ৬ হাজার শিক্ষক
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে বলে জানা গেছে। গত ৩০ নভেম্বর সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। ১ ডিসেম্বর অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ৬ হাজার ১৫৫ সহকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে জানানো হয়েছে। এ পদোন্নতির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন তারা। তবে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি হলেও তাদের আর্থিক কোনও সুবিধা বাড়ানো হবে না বলেও জানা গেছে।মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষে এ পদোন্নতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, মুজিববর্ষে পদোন্নতি বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কোনোভাবেই কালক্ষেপণ করতে চাই না। এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে।
সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে কর্মরত ১০ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষক এই পদোন্নতিতে যুক্ত হবেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ পদোন্নতির ফলে শিক্ষকদের কোনও আর্থিক সুবিধা না বাড়লেও সামাজিকভাবে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া পদোন্নতির এ জট খুললে মাধ্যমিকের উপরের বিভিন্ন পদায়নও সম্ভব হবে।এদিকে ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) না থাকার শর্ত লঙ্ঘন, সমন্বিত মেধাতালিকা না থাকার কারণে কীভাবে পদোন্নতি দেয়া হবে তা নিয়ে অনেক শিক্ষক প্রশ্ন তুলেছেন। ফলে অনেক শিক্ষকের পদোন্ননতি আটকে যেতে পারে।এ বিষয়ে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন মাহমুদ সালমী বলেন, ২০১৮ সালে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে সে পদ্ধতি অনুসরণ করে পদোন্নতি দিলে কারও কোনও অভিযোগ থাকবে না।জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, ত্রুটি দেখতেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। শিক্ষকরা চাইলে অনলাইনে তাদের মতামত বা লিখিত অভিযোগ করে আমাদের জানাতে পারবেন। বিধিবিধান অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খসড়া তালিকা সংশোধন করা হবে এবং তা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।