সাপাহারে আম্ফানের তান্ডবে কৃষকের স্বপ্ন ২০ টাকা বস্তায় বিক্রি
গোলাপ খন্দকার সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি: হতাশা যেন কাটছেই না নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আম চাষীদের এবার কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত একদিকে করোনা ভাইরাসে আম বাজার জাত নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করতেছে তার মধ্যে আবার হঠাৎ করে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সহ আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আম গাছ থেকে প্রায় শতকরা ৩ থেকে ৪ভাগ আম ঝড়ে ঝরে পড়েছে। সকাল থেকে বাগানে বাগানে আম কুড়িয়ে বস্তায় বস্তায় আম বাজারে বিক্রি করতে আসলে কৃষকের স্বপ্ন আমের দাম হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা বস্তা।
জানাগেছে, জেলার সাপাহার উপজেলায় সর্ববৃহৎ আমের বাজার গড়ে ওঠে সাপাহার উপজেলায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সকল প্রস্তুতি নিচ্ছেন আম আড়তদাররা, আড়ত মেরামতের কাজ প্রায় শেষ ঈদের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান বা জেলা থেকে আম ব্যাপারীরা আম কেনার জন্য আসবে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমের কেনা বেচার কথা ছিল হঠাৎ আম্ফানের তান্ডবে উপজেলার আম চাষী কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল, দেখা যেত ঈদের পর আম কেনা বেচা শুরু হলে বাজার দর অনুযায়ী ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা দরে কৃষকের স্বপ্ন প্রথমে ওঠা বিভিন্ন জাতের আম গুলো বিক্রি হত।
উপজেলার আম চাষী বাবলুর রহমান জানান,বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে আসলে আমরা আমাদের আম গুলো বিক্রি করতে পারবো কিনা সে চিন্তায় আছি তার মধ্যে ঝড় ঝাপটা শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগেও ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঘুর্নিঝড় আম্ফান আবরো এই এলাকায় আঘাত হানল। আম্ফানের এই আঘাতে প্রতিটি বাগানে প্রায় অনেক আম মাটিতে ঝড়ে ঝরে পড়েছে। এবারের ঝড়ে গাছ হতে সরেস বড় সাইজের আমগুলিই ঝরে গেছে।
সাপাহার উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম বলেন, সাপাহারে এবার ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এমনিতেই এবার বাগানগুলোতে আম কম ধরেছিল। তারওপর এই ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। শতকরা বাগান শুলো থেকে ৩ থেকে ৪ ভাগ আম ঝড়ে ঝরে পড়ে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে।