নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য
এসএম খুররম আজাদ: নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তরালের গুণীরা ৷ অণু ও কণার পার্থক্য বিহীন বৈজ্ঞানিক মতবাদের সূত্রনীতির আলোকে চলমান বিশ্ব গণমাধ্যম মানব কল্যাণের ধারায় ব্যবহৃত হতে পারেনি বলে মানবিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য মোচন তথা নাগরিক অধিকার ধুম্রজালে পতিত রয়েছে। পেশাগত সাংবাদিকতা সেবাগত মহান দায়িত্বকে বিলুপ্ত
করেছিল বলেও জানান তাঁরা! পেশাগত সাংবাদিকতা অর্থ উপার্জনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতাকে ব্যহত করে আসছে এবং অপরাধীর সাথে অপ- সমন্বয়ে লিপ্ত হচ্ছে ৷ যা নিরাপরাধী সাধারণ মানুষের কল্যানে ভূমিকাও রাখতে পারছেনা বরং নিরাপরাধীদের ফাঁসানোর জাল বুনছে ও অপরাধীদের সাথে অপ-সমন্বয়ে যে অর্থ উপার্জনের পেশাগত সাংবাদিকতার বস্তুনিষ্ঠতার ধারা সৃষ্টি করছে তা পূর্ণাঙ্গ কোন গণমাধ্যম নীতিমালা হিসেবে গণ্য হতে পারেনা বলে মনে করছে সংবেদনশীল (সত্যনিষ্ঠ) গণমাধ্যম ৷ পেশাগত ও সেবাগত গণমাধ্যমের পার্থক্যে এতটুকু নির্ণয় করা যায় যে পেশাগত সাংবাদিকতা উন্নয়ন, সংস্কার ও জনগনেণের অর্থ আত্নসাত সমেত তথ্য বিলুপ্তির সন্ধিক্ষণে কর্তৃত্ববাদীর প্রনোদনায় অপসাংবাদিকদের কলম বন্ধের প্রাক্কালে গণমাধ্যমকর্মীর অর্থ প্রাপ্তির উপার্জনজনিত আকাঙ্খার বৈরিতাকে পেশা হিসাবে উল্লেখ করেছেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর এক (০১) আদর্শের তরঙ্গনীতির গবেষণাগার ৷ আর মহান দায়িত্বের সেবাগত সাংবাদিকতা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ পূর্বক তাঁর (সরকারের) অনুদান প্রাপ্তির নাগরিক কর্তৃক প্রতিদানকে সেবাগত উপার্জনের মান উন্নয়নমূলক সত্যনিষ্ঠ গনমাধ্যমের ধারাকে বুঝাবে তথা সেবাগত সাংবাদিকতার প্রতি সাধারণ জনগণের ভিন্ননধর্মী আস্থারও জন্ম দেবে। “আইজেক নিউটন ও আলবার্ট আইনস্টাইন” এর তথাকথিত কণা ও তরঙ্গের অ-সমন্বিত (-১) সূত্রনীতির আলোকে চলমান বিশ্ব গণমাধ্যম পেশাগত সাংবাদিকতার অপূর্ণাঙ্গ নীতিমালার অনুধাবনে চলে আসছিল। যা রাষ্ট্রীয় সরকারের প্রদানকৃত বরাদ্দের বিভাজন ও বন্টনের সত্যনিষ্ঠ প্রত্যাবর্তনকে ব্যহত করেছিল। কিন্তু, অভিনব তরঙ্গ গবেষণায় প্রমানিত হয় যে অণু ও তরঙ্গের এক (০১) অস্তিত্বের পূর্ণাঙ্গ সূত্রনীতির আলোকপাত রাষ্ট্রীয় সরকারের প্রদেয় বরাদ্দের বিভাজন ও বন্টনের সত্যনিষ্ঠ প্রত্যাবর্তনের এক (০১) ধারা প্রয়োগের সাংবাদিকতা পেশাগত মান উন্নয়নে নয় মূলত সেবাগত মান উন্নয়নকে তরান্বিত করবে। সে মতে, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)এর অপ-সাংবাদিক নির্ণয় ছাড়াই পেশাগত মান উন্নয়নের সাংবাদিক তালিকা প্রনয়ণের সিদ্ধান্ত জাতীয় চেতনাবোধে সুদূর প্রসারী বিভ্রমের সৃষ্টি করতে পারে বলে জানিয়েছেন গুণীমহল। পেশাগত সাংবাদিকতার বিকল্প ধারার সেবাগত সাংবাদিকতার ভিন্ন মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস এমন তথ্য উপাত্ত্বের সৃষ্টি করেছে । জানাগেছে, তথ্য মন্ত্রনালয়াধীন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে একুশ শতকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশটির পিআইবি জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিক নিবন্ধন অনলাইনে করবে জেনে অত্র সংস্থার (পিআইবি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলমের কাছে পেশাগত মান উন্নয়ন নয় বরং সেবাগত মান উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে,” এটা অনেক ভাল উদ্দ্যেগ বলে জানান তিনি”।এবিষয়ে আরও জানতে চাইলে তরঙ্গনীতির গবেষণাগারের গবেষক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, ” আসলে, নীতিগত প্রশ্নে প্রকৃত সাংবাদিক অনুসন্ধানের পূর্বে অপ-সাংবাদিক খুঁজে বের করা জরুরী কেননা, গণমাধ্যম সত্যনিষ্ঠতার মহান দায়িত্ব। এটা কখনও পেশা হতে পারেনা। সে লক্ষ্যে দেশটির রাষ্ট্র ও সরকারকে সেবাগত গনমাধ্যম সৃষ্টির বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন অন্তরালের গুণীরা”।