রাজধানীতে বোর্ড নির্ধারিত সেটের পরিবর্তে ভিন্ন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা


মোঃ সজীবুল হক (সজীব): চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় আবার বোর্ড নির্ধারিত সেটের পরিবর্তে ভিন্ন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ কেন্দ্রে জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিভাগ অনুযায়ী বেশ কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও তেজগাঁও কলেজের পরীক্ষার্থীরা। তেজগাঁও কলেজের পরীক্ষার্থী সজীব বলেন,আমরা পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ অংশে যে সেটে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেই সেটে না হয়ে ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাঁরা খুব দুশ্চিন্তায় আছেন। বিষয়টি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডকেও জানিয়েছেন তাঁরা।উদ্বিগ্ন আরেক পরীক্ষার্থীর মা বলেন, তাঁদের দাবি তাঁদের সন্তানেরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা যেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনেই ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, এমসিকিউ অংশে সেট-২ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজি ভার্সনে সেট-১ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য পরীক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। যে সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে সেটা বিবেচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় এই উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন হবে। এই ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (কেন্দ্রসচিব) কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এবার পরীক্ষার আগে সব সেট প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এরপর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে তা ঠিক করা হচ্ছে। এমন আরও কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কোনো কোনো কেন্দ্রে ভুল করে নির্ধারিত সেটের পরিবর্তে ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজ কেন্দ্রে জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের এমসিকিউ অংশে ভিন্ন সেট দেওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর তা বদলে নির্ধারিত সেট দেওয়া হয়। এতে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *