ঝিকরগাছার দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, বোমা হামলা-ভাঙচুর

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:

গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাদক ব্যবসা ও মদপানকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।গ্রামটিতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাভিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।

বোমা হামলায় আহতরা হলেন, ঘটনাস্থলের পাশের মুদি দোকানি সেতু স্টোরের মালিক নুরুন্নবী (৪৮), নুর ইসলামের ছেলে মিনরুল (৪০), নাসির উদ্দিনের ছেলে আলম (৩৫), নাসির উদ্দিনের ছেলে আকাশ (২০), হাসানের স্ত্রী রুনা খাতুন (৩০), মনিরের ছেলে ছুরিকাহত পিয়াল (১৯), অপর পক্ষের আহতরা হলেন ফাতেমা (৪০), ছকিনা (৪৫), রিয়াদ (২০), বিলকিচ (৩০), জাফর (২২), কাদের (৪৫), মিন্টু (৩৫), রুবিনা (২২)।

এদের মধ্যে ফাতেমা, ছকিনা ও রিয়াদ এখনো ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা গুরুতর।

মুদি দোকানি নুরুন্নবী দাবি করেন, তার দোকানের অদূরে মল্লিকপুর গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাদকসেবন ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডা শুনে তিনি দোকান বন্ধ করে এগিয়ে যান। এসময় তিনি লক্ষ্য করেন প্রতিবেশী মান্নানের ছেলে পিনু (২৫) ও তার শ্যালক জাফর (২২) ও বুলুর ছেলে জিহাদ (২০)’র নেতৃত্বে বহিরাগত ১৫/২০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটাসহ এলোপাতাড়ি মারপিট ও হামলা শুরু করে। এসময় ঘটনাস্থলে দুটি বোমা নিক্ষেপ করলে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি বসতবাড়ি ও দু’টি দোকানের মালিক মনির হোসেন, হাসান, জীবন, মনিরুল ও নাসির দাবি করেন, প্রাইমারি স্কুলের সামনের চা দোকানি মনিরুলের সাথে আব্দুল খালেক মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই বোমা হামলা, ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, মল্লিকপুর গুচ্ছ গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি চহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ মাদক কারবারের সাথে জড়িত। গ্রামবাসীর দাবি, বহুল আলোচিত এই মাদক কারবারিদের ব্যাপারে থানা, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবগত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ ঘটনায় আহত মনির হোসেন বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনার পর থেকে গুচ্ছগ্রাম এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *