শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গর্ব প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলী স্যার এই প্রথম বাংলাদেশর চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত।

মোঃ আরিফুর রহমান : বাংলাদেশে এই প্রথম চিকিৎসা শিক্ষা এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়,এবং কাউন্সিলের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চক পাঠাকাটা গ্রামের প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলী স্যার। ৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে প্রকাশিত, বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত ও সংসদ কর্তৃক গৃহীত ১৪৩০ মোতাবেক ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে।২০২৩ সনের ৩০ নং আইনে চিকিৎসা শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত করনের উদ্দেশ্যে চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রমকে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান এবং চিকিৎসা শিক্ষা প্রদান কারীদের মান নিয়ন্ত্রণ ও তদারকীর লক্ষে কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা সহ আনুষঙ্গিক

প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলী স্যার এর সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ

তিনি ১৯৪৪ সালের ১৬ই জুন শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চক পাঠাকাটা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।

*বাবা মার একমাত্র সন্তান। বাবা মরহুম আহাম্মদ আলী গ্রামের একজন সাধাসিদে মানুষ ছিলেন।
*মা মরহুমা সহিতুন নেছা রত্নগর্ভা গৃহীনি ছিলেন। পারিবারিক জীবনে অতী সাধারণ জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে। তিনি ছোট বেলা থেকেই অত্যান্ত ম্যাধাবী ছিলেন। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন।

* শিক্ষা ও কর্মজীবনঃ

প্রাইমারী জীবনঃ

বর্তমানে সাইলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়/ হাইস্কুল যে স্থানে অবস্থিত সে সময়ে সেখানে কোন স্কুল ছিলনা। গ্রামের ছেলে মেয়েদে পড়া লেখার জন্য সেখানে একটি মক্তব ছিল, সেই মক্তবেই প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলী স্যারের প্রাথমিক শিক্ষার হাতে খড়ি।

মক্তবে ১ ম শ্রেণি শেষ করে নারায়ণখোলা জুনিয়র মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১ম শ্রেণি হতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সবসময়ই প্রথম স্থান অধিকার করে আসছিলেন।ডাঃ সোহরাব আলী।

শিক্ষা ও কর্মজীবন।
১৯৬০ সালে তৎকালীন সময়ের নামকরা পিয়ারপুর হাইস্কুল থেকে তিনি অংকে লেটার সহ প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন (বর্তমান এস এস সি) পরীক্ষা পাশ করেন।
* ১৯৬২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আই এস সি (বর্তমানএইচএসসি) পরীক্ষা পাশ করেন।
*১৯৬৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।

এম,বি,বি,এস ডিগ্রি অর্জন করে ২৪-০১-১৯৬৯ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম যোগদান করেন।
১৯৬৯ সালের ১৬মে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

* ১৯৭৩ সালে আই পি জি এম আর ( পিজি) থেকে বায়োক্যামিস্ট্রিতে এম.ফিল(স্নাতকোত্তর) ডিগ্রী অর্জন করেন।
*১৯৭৭-৭৮সালে বি.এম.এ য়ের সভাপতি ছিলেন।

*একবছর (১৯৭৯-১৯৮০) প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ডব্লিউ.এইচ. ও ফেলোশিপ ইন ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, বারমা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া অন ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি, মেডিকেল এডুকেশন এন্ড নিউট্রিশন।

*১৯৮৪ ব্রিটিশ কাউন্সিল বার্সারী ইন রয়েল ইনফার্মারী,গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য অন প্যাথলজিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি।
* (১৯৯৫-৯৯) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টগ্রাজুয়েট চিকিৎসা অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

*১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস ( বিসিপিএস) থেকে এফ.সি.পি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন।
*১৯৯৭ সিয়েম কনফারেন্স স্পনসারড বাই ডব্লিউএইচও ইন পাতায়া সেন্টার, থাইল্যান্ড অন টিচিং ম্যাথডোলজি।
*১৯৯৭ ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি কনফারেন্স, কলকাতা,ইন্ডিয়া অন কনসেপ্ট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন।
*১৯৯৮ ল্যাবরেটরি ইকুয়ুপমেন্ট অপারেশনাল ট্রেনিং স্পনসারড বাই টেকনিকন সিঙ্গাপুর অন অটো এনালাইজার টেকনিক।
*১৯৯৮-১৯৯৯,এক্সটারনাল এক্সামিনার ইন ক্যামিক্যাল প্যাথলজি ফর এফসিপিএস এক্সামিনেশন,পাকিস্তান কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স এন্ড সার্জনস এট করাচি এন্ড লাহোর।
* ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত (পিএসসি)বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ছিলেন।
* তিনি জীবনের দীর্ঘতম সময়(৩০বছর) একই প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ আইপিজিএমআর (পিজি হাসপাতাল) এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োক্যামিস্ট্রি বিভাগে অধ্যাপনা করেন। অত্র বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৫ সালে জুন মাসে অবসর গ্রহন করেন।
*২০০০-চাইনিজ কনগ্রেস অব ক্লিনিক্যাল ক্যামিস্ট্রি এন্ড ল্যাবরেটরি মেডিসিন,হংকং কনভেনশন সেন্টার,হংকং অন Arsenic Poisoning ।
* ২০০১ অমুক্তিযুদ্ধাল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজিস্টস কনফারেন্স, সাইন্স সিটি, কলকাতা,ইন্ডিয়া ।
মোট ৯৫ টি রাষ্ট্রে তিনি হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

* ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টারে (ক্যামব্রিজ,ইংল্যান্ড) ম্যান অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন।
*২০০৪ সালে শ্রীলংকার কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Lead Poisoning নিয়ে কাজ করে সর্বোচ্চ ডিগ্রী Doctor of Science (D. Sc) অর্জন করেন।বর্তমানে তিনি মেডিকেল সাইন্সে বাংলাদেশের একমাত্র D.Sc ডিগ্রী অর্জনকারী ব্যাক্তি।
*আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ইলিশ মাছের চর্বি খাইয়ে মানুষের উপর গবেষণা করেন এবং প্রমাণ করেন যে এটা রক্তের কোলেস্টেরল কমানো সহ বিভিন্ন ভাবে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেশাগত জীবনে তিনি লিপিড মেটাবলিজম ও পুষ্টি বিষয়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
*৫০ বছর যাবৎ বায়োকেমিস্ট্রিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। অনেক দেশি, বিদেশি মেডিকেল গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং প্রতিষ্ঠানের সদস্য হয়েছেন। এ পর্যন্ত তাঁর ৯৫টি গবেষণা প্রতিবেদন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের এবং পরবর্তীতে বিএসএমএমইউ এর ছাত্র-ছাত্রীদের ২০ বছর যাবৎ এম.ফিল, এম.ডি, এমএস এবং পিএইচ.ডি ডিগ্রির থিসিস তত্বাবধান করেছেন।
* এক জরিপে তিনি বিশ্বের “একশত শিক্ষকের একজন” নির্বাচিত হন।
*২০০৬ সালে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউটে তিনি বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিবন্ধিত হন।
অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রনয়ন করা

সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
ডাঃ সোহরাব আলী স্যার বাংলাদেশের মধ্যে এক মাত্র বায়োকেমিস্ট্রিতে ডিএসসি ডিগ্রি অর্জনকারী ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা

**সহধর্মিণীঃ
সুযোগ্য সহধর্মিণী মনোয়ারা বেগম বেলীর হাত ধরেই প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলীর পথ চলা। মনোয়ারা বেগম একজন ইসলামি হিস্ট্রির প্রফেসর। তিনি ব্যাক্তি জীবনে হাইস্কুল হতে বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কর্ম জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসাবে রাজনীতি করে আসছেন।শুধু তাই নয় মনোয়ারা বেগম বেলী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও স্বাধীন বাংলার প্রথম মন্ত্রী পরিষদ সচিব “এইচ টি ইমাম “ এর শালিকা।
মনোয়ারা বেগম বেলী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠক রাশিদা আক্তার ডলী তদানিন্তন সময়ে বেগম রোকেয়া হলের নেত্রীত্ব প্রদানের মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতিকে শক্তিশালী করনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে এসেছেন। বর্তমান সংসদ উপনেতা, বাংলার অগ্নি কন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী, রাশিদা আক্তার ডলী ও মনোয়ারা বেগম বেলী একি সাথে রাজনীতি করতেন। এবং তাদের মাঝে একটা ব্যাক্তিগত সম্পর্ক বিধ্যমান।
প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলী স্যারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্কুল জীবনের উল্লেখযোগ্য শিক্ষক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অশ্রুুভেজা নয়নে “মরহুম জহির উদ্দিন” স্যারের নামটি শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করে থেমে জান।প্রফেসর বলেন আজকে আমার জীবনে যাকিছু অর্জন হয়েছে , তার সবটুকুই জহির উদ্দিন স্যারের অবদান। নারায়নখোলা জুনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যয়ন কালে জহির স্যার আমার জন্য একটি রুটিন করে দিয়েছেন, সকালে স্কুলে যাবার সময় স্যারের বাড়িতে যেতে হতো এবং স্কুল হতে আসার সময় স্যারের বাড়িতে গিয়ে কিছু খেয়ে আসতে হতো।এ সময় স্যার আমাকে ইংরেজি, অংক ও অনান্য বিষয়ে শিক্ষা দিতেন।বিনিময়ে তিনি কোন টাকা নিতেননা। ডাঃ বলেন আমি আমার জীবনের সবটুকু দিয়েও স্যারের অবদান শুধু করতে পারবোনা।
আল্লাহ যেন স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।

পারিবারিক জীবনে ৩ কন্যার জনক। প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলী। ৩ কন্যা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে
১/ সাকেরা মহসেনা সুমা (কানাডা সিটিজেন)
২/ ডঃ ইলারা রোকসানা সাউন (আমেরিকার সিটিজেন)
৩/ সাবেরা সুলতানা সাথি(আমেরিকার সিটিজেন) এবং তারা সেখানেই কর্মরত আছেন।

১৯৮৪ সালে প্রফেসর ডাঃ সোহরাব আলী ও তার সহধর্মিণী মনোয়ারা বেগম বেলী হজ্ব ব্রত পালন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের হাজীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে মেডিকেল টিমের প্রদান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ঢাকায় চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ডাক্তারদের নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধা-কমান্ডার ডাঃ কলিমুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকায় বিভিন্ন স্পটে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন ডাঃ সোহরাব আলী। সেই সময়ে বেশ কয়জন ডাক্তারকে মুক্তিযুদ্ধের সনদ প্রদান করা হয়, তাদের মধ্যে ডাঃ সোহরাব আলীকেও মুক্তিযুদ্ধের সনদ প্রদান করেন। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ভোররাতে শাহাবাগের পাশে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে খন্ডযুদ্ধে অংশ নিয়ে বিজয়ী বেশে তখনকার রেডিও পাকিস্তান ভবনের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আসেন ডাঃ সোহরাব আলী। ইতিমধ্যে ঐ দিন সকালেই বেতারে আমাদের বিজয়ের ঘোষণা আসে পাকসেনাবাহিনীর আত্নসমর্পনের খবরের মাধ্যমে।

স্বাধীনতার পর তিনি দেখেন তৎকালীন জনৈক আওয়ামীলীগ নেতা বেশ কয়জনের মাঝে মুক্তিযুদ্ধা সনদ বিতরন করেন।যাদের কিছুসংখ্যক ছিল Sixteenth Division মুক্তিযোদ্ধা অর্থাৎ তারা ছিল মূলত রাজাকার। কিন্তু ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে 303 Rifle জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বনে যায়। এই সনদ নিয়েই তাদের দুজন ’৭৩ ব্যাচের ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ পায়। ওরা ডাঃ সোহরাব আলীর বাসার কাছাকাছি এলাকায় থাকতো।তখন ডাঃ সোহরাব আলী ক্ষোভে দু:খে বলেন, “হায় কপাল! আমরা যুদ্ধ করে সনদ পেলাম অন্যরা যুদ্ধ ছাড়াই সনদ নিয়ে এলো।” তখন তিনি রাগে মুক্তিযুদ্ধের সনদ পুড়ে ফেলেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন আমি যোদ্ধা হিসেবে বেঁচে থাকতে চাইনা-চাই ডাঃ সোহরাব আলী হিসেবে বাঁচতে। তিনি বলেন,” মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে যেহেতু নকল ঢুকেছে সেহেতু আসল সার্টিফিকেট নিয়েই লাভ কী? তাই, আজীবন আমি শুধু ডাঃ সোহরাব আলী হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই। “তিনি বলেন, দোয়া করেন আমি যেন সেবা দিয়ে মানুষের পাশে থেকে মৃত্যুবরণ করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *