কালীগঞ্জে দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের রিরুদ্ধে প্রসূতির জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ
মশিউর রহমান : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক প্রসূতির জরায়ুর নারী ভুলক্রমে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার দারুস সেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। জানা যায়, উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হরিগোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদের স্ত্রী মোছাঃ সাথী খাতুন গর্ভবতী অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কালীগঞ্জ দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে যান। ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত চিকিৎসক রোকসানা পারভীন রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলেন বাচ্চা পেটের ভিতর মারা গেছে, তাকে এখনই সিজার করতে হবে, না হলে রোগীও মারা যাবে ।এরপর ডাঃ রোকসানা পারভীনের তত্তাবধানে সিজার করার সময় প্রসূতির জরায়ু নাড়ি কেটে ফেলা হয় ।পরদিন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দারুস শেফা হাসপাতাল কর্তপক্ষ রোগীকে দ্রুত খুলনা নিয়ে যেতে বলেন।তাৎক্ষনিক প্রসূতির স্বামী আব্দুল মাজেদ তার স্ত্রীকে যশোর ইবনেসিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তপক্ষ রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই রোগী যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। মোছাঃ সাথী খাতুনের স্বামী আব্দুল মাজেদ মুঠোফোনে জানান,দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসক ডাঃ রোকসানা পারভীন আমার স্ত্রীর সিজার করার সময় জরায়ু নাড়ী কেটে ফেলেছে।সে আর কোনদিনই মা হতে পারবে না। হাসপাতাল খুলে কি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে তারা? আমার স্ত্রীর যে ক্ষতি হলো তা কিভাবে পূরণ হবে? আমার স্ত্রী এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়। আমি বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এই ভূল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক এবং ওই প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার রোকসানা পারভিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ওই নারীর অপারেশন আমি করিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অপারেশন হয়েছে এটা সঠিক কিন্তু অপারেশনটি করেছেন ডাঃ প্রতাপ বাবু। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কালীগঞ্জের দারস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অপচিকিৎসার নানা অভিযোগ রয়েছে। আর এ ধরনের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।