ইউপি চেয়ারম্যানের ক্ষমতার দাপট ফসলি জমিতে ফের অবৈধ পুকুর খনন

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ফের ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। তানোরের সীমান্তবর্তী রায়ঘাটি ইউরি পারিলাডাঙ্গা বিলে ফের প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি নস্ট করে ফের অবৈধ পুকুর খনন শুরু করা হয়েছে। এদিকে চলতি বছরের ৯মার্চ মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা অবৈধ পুকুর খননের ছবি উঠাতে গেলে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মারমূখী আচরণ করে তার ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলেন, এমপি, ডিসি, ইউএনও,ওসি তার পুকুর খননের বিষয়ে জানেন সাংবাদিকদের লেখায় তার পুকুর খনন বন্ধ হবে না মোহনপুর উপজেলায় পুকুর খনন বন্ধ থাকলেও তিনি কিশের ভিত্তিত্বে পুকুর খনন করছেন সেটা বুঝতে হবে শুধু সাংবাদিকতা করলেই হবে না, তিনিও ইচ্ছে করলে যেকোনো সময় ১০-২০ টা সাংবাদিকের কার্ড নিতে পারেন। স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান প্রভাববিস্তার ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিরহ কৃষকদের জমি ইজারা দিতে বাধ্য করে ইতমধ্যে প্রায় ১৫০ বিঘা ফসলি জমি নস্ট করে অবৈধ পুকুর খনন সম্পন্ন করেছে। এদিকে আবারো প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি নস্ট করে ফের অবৈধ পুকুর খনন শুরু করেছে। তারা বলেন, এসব অবৈধ পুকুর খনন করা হলে জলাবদ্ধতার কারণে বিলের শত শত বিঘা ফসলী জমির ফসলহানী ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের সরকার প্রধান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে এক ছটাকর কৃষি জমি নস্ট বা শ্রেণী পরিবর্তন করে কোনো অবস্থাতেই কোনো স্থাপনা-কলখারখানা বা নির্মাণ বা অকৃষি কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অথচ সরকার প্রধানের সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করেই ফসলী জমিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলছে অবৈধ পুকুর থননের মহোৎসব। আসলে বিষয়টি কি দেভার কেউ নাই, নাকি দেখেও না দেখার অভিনয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে ?
সংশ্লিষ্ট এলাকার শ্রমজীবী মানুষেরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে এসব অবৈধ পুকুর খনন ও বাণিজ্যকভাবে ব্যবহার হওয়ার বাড়ীর পুরুষরা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। তারা এসব জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করছেন এসব অবৈধ পুকুর খনন সম্পন্ন হলে তাদের কৃষি শ্রমিকের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি বাড়ির গবাদি পশু খাওয়ানোর মতো কোনো মাঠও থাকবে না। এসব অবৈধ পুকুর খনন প্রতিরোধ করা না গেলে তাদের কর্মের সন্ধানে এলাকাছাড়া হওয়া ব্যতিত কোনো উপায় থাকবে না। তারা এসব পুকুর খনন বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়ঘাটি ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব জমিতে তেমন ফসল হয় না তায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। এব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানওয়ার হোসেন বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, পুকুর খননের অনুমতি তিনি দিতে পারেন না তিনি কোনো অনুমতিও দেননি। এব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, কৃষি জমি নস্ট করে বাণিজ্যিকভাবে পুকুর খননের কোনো সুযোগ নাই এটা দন্ডনীয় অপরাধ বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *