তানোরে খাস সম্পত্তির শতবর্ষী গাছ লোপাট

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কাঁমারগা ইউপির রঘুনাথপুর গ্রামে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির ওপর থেকে প্রায় শতবর্ষী কালের স্বাক্ষী ও সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে দেবতা সমতুল্য একটি বড় পাইকড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তানোর থানার দারোগা এসআই হামিদের সহায়তায় দেবতা সমতুল্য এই গাছ কাটার খবর ছড়িয়ে পড়লে সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিšত্ত প্রভাবশালীদের ভয়ে তারা প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না আবার অধিকাংশক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। স্থানীয়রা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। স্থানীয়রা জানান, তানোরের কাঁমারগা ইউপির রঘুনাথপুর গ্রামের থানতলায় একটি শতবর্ষী বড় পাইকড় গাছ রয়েছে। এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীরা বংশপরম্পরায় এই গাছের নিচে পুজা-আর্চনা ও গাছটিকে দেবতার মতো ভক্তি-শ্রদ্ধা করে আসছেন। কিšত্ত রঘুনাথপুর গ্রামের প্রভাবশালী তমিজ উদ্দিনের পুত্র আলম, একই গ্রামের মৃত ঘঘুর প্রামানিকের পুত্র ইয়াদ আলী ও হাসান আলী তাদের লোকজন নিয়ে গ্রামবাসির বাধা উপেক্ষা করে হুসেনপুর গ্রামের আমিন মেম্বারের কাছে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আমিন মেম্বার তার লোকজন নিয়ে এসে গাছটি কেটে নিয়েছেন। এদিকে প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যর এই শতবর্ষী গাছ মাত্র ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের কয়েকজন বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তি জানান, রঘুনাথপুর মৌজায় ২০৫ নম্বর দাগে ৪০ শতক সম্পত্তি রয়েছে এর মধ্যে ৯ শতক সরকারী খাস এবং খাস জমির ওপর সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি থান রয়েছে ও শতবর্ষী ওই পাইকড় গাছ রয়েছে। স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীরা বংশপরম্পরায় গাছের নিচে পুজা-আর্চনা ও গাছটিকে দেবতার মতো ভক্তি-শ্রদ্ধা করে আসছেন। এদিকে ওই ৪০ শতক সম্পত্তি এখানো ভাগ-বাটোয়ারাই হয়নি। কিšত্ত কাঁমারগা ইউপির এক নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি ইয়াদ আলী ও আলম প্রভাববিস্তার করে দারোগা হামিদের সহায়তায় তারা তাদের লোকজন নিয়ে এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে প্রায় দুলাখ টাকা মূল্যর গাছ মাত্র ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে আলম বলেন, তানোর থানার দারোগা এসআই আব্দুল হামিদ কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি সরকারী জায়গার গাছ হয় তাহলে সরকারের ঘরে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হবে। এব্যাপারে ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি ইয়াদ আলী বলেন, তাদের সম্পত্তির গাছ তারা বিক্রি করেছেন এখানে আবার কার অনুমতির কি প্রয়োজন রয়েছে। এব্যাপারে রাজশাহী বনবিভাগের আঞ্চলিক কর্মকর্তা বলেন, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতিত এতো পুরাতন তাজা গাছ কাটার কোনো সুযোগ নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *