অসহায় স্বপ্না এটিএসআই মনিরের প্রেমে প্রতারিত হয়ে পথে পথে ঘুরছে
রেজওয়ান আহম্মেদ ভ্রাম্যমান রিপোর্টার: প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হয়ে স্বপ্না বেগম বিচার চেয়ে পথে পথে ঘুরছে। প্রেমিক এটিএসআই মনির হোসেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একত্রে বসবাস করলেও এখন পুলিশ লাইনের আরও-এর সহযোগিতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি। স্বপ্নার অভিযোগ, তারা আইনের লোক হয়েও বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে।
স্বপ্না বেগম একজন অসহায় মহিলা। বাবার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহমপুর গ্রামে। প্রথম স্বামী মারা যায়। তারপর তার পরিবার তাকে বিয়ে দেয় এক বয়স্ক ব্যক্তির সাথে। তার হাত ধরে চলে আসে সাতক্ষীরায়। ওঠে কাটিয়া মিল বাজারে এক ভাড়াটিয়া বাসায়। স্বপ্না কাজ নেয় ঋশিল্পীতে। বছর খানেক আগে তার স্বামী তাকে এখানে রেখে আবার চলে যায় ঢাকায় কাজের সন্ধানে। ঢাকায় কাজ করতে থাকে। এটিএসআই মনির হোসেনের (ব্যাচ নম্বর- ১৩৬,এর কু-নজর মেয়েটির দিকে পড়লে একজন মহিলাকে দিয়ে মনির হোসেন স্বপ্না বেগমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। প্রায় সময় মোবাইলে ফোন করে স্বপ্নাকে বিরক্ত করতো মনির হোসেন। এক পর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে মোবাইলে কথা বলার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এভাবে কথা বলতে বলতে মনিরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে স্বপ্না। মনির হোসেন তাকে বিয়ের মিথ্যে আশ্বাস দেন। মিল বাজারের বাসা ছেড়ে ভালো বাসা নিতে বলে। তখন তার সহযোগিতায় স্বপ্না বেগম মিল বাজারের বাসা ছেড়ে নারিকেল তলায় বাসা ভাড়া নেয়। এখানে স্বপ্না ও মনির হোসেন বিয়ে না করেই স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করতো। এক পর্যায়ে স্বপ্নার গর্ভে সন্তান আসে। মনির বিভিন্ন প্রকার ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। এভাবেই তাদের কেটে যাচ্ছিল দিন। স্বপ্না বিয়ের প্রস্তাব দিলেই মনির তা প্রত্যাখ্যান করে। বলে, তার স্ত্রী বিয়ে করলে স্বপ্নাকে মেনে নেবে না। এভাবে প্রতারনা করে স্বপ্নার বাসা থেকে বেরিয়ে আসে মনির। স্বপ্নার বাসায় ফেলে আসা তার পোষাক, দু’টো গেঞ্জি, দু’টো প্যান্ট, জুতোর ব্রাস প্রভৃতি জিনিসগুলো আর নিতেও যায়নি। বর্তমানে মনির হোসেন গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছে। আর স্বপ্নার কাছে রয়ে গেছে স্মৃতির নিদর্শন স্বরূপ তাদের মেলামেশা করার কিছু আপত্তিকর ছবি।
এসব নিয়ে স্বপ্না পুলিশ সুপার ও আরও-এর কাছে অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি। বরং মনির হোসেন স্বপ্নাকে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলছে, এ নিয়ে বাড়াাবাড়ি করলে ফল ভাল হবে না। বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দিয়ে জেল খাটানো হবে। একই কথা বলছে মনির হোসেন। স্বপ্না এখন মানবাধিকার সংগঠন ও কর্মীদের স্মরণাপন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশ লাইনের আরও মনির হোসেনকে অন্য জেলায় বদলি করে দেবার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।