পৌরসভার ১২ নাম্বারে মাদক জি’য়ে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রসাশনের মাদক নির্মূল দেখিয়ে পুরুষ্কার নেওয়া-দেওয়ার মহোৎসব চলছে
আব্দুল আওয়াল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ নাম কাওয়াস্তে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন দফতর ঠাকুরগাঁও, টাকা দাও মাদক ব্যবসা চালাও এ পরিস্থিতি এখন চলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। মাদক বিক্রেতারা কাউকে তোয়াক্কা না করে মাদক বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট এখন তুঙ্গে উঠেছে। হাত বাড়ালেই সহজেই পাওয়া যায় সব ধরনের মাদক। আর চোখ খুলে তাকালেই দেখা যায় পৌর শহরে যত্র- তত্র এলাকায় মাদকের ব্যবসা, ঐসব এলাকা গুলিতে কতিপয় প্রশাসনের ব্যক্তিরা মাসোহারায় ম্যানেজ। অবাধে মাদক ব্যবসা জমে উঠলেও উচ্ছেদ প্রক্রিয়া ও প্রতিরোধ না থাকায় তরুণ যুবকেরা নেশায় আসক্ত এখন তারা দিশেহারা। তবে পৌরশহরের ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় মাদক বানিজ্য মেলা গড়ে উঠেছে। এই বানিজ্য মেলার স্থানে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সাহেব আলির বাসা। তার বাসা সংলগ্ন, মাদক ব্যবসায়ী ও ফেন্সিডিল ব্যবসার মালিক মসলি রাণী, জামিলা বেগম, মনু মিয়া ও কুট্টির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাদা পোশাকে পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রনের লোক জনের যাওয়া আসা ও ভোগ বিলাস চোখে পড়ার মতো। এ দৃশ্য দেখে অনেকে অবাক হচ্ছে, আবার অনেকের এ দৃশ্য কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। লোকজন অনায়াসে এ দৃশ্য রেললাইনে দাড়িয়ে দেখেন আর মন্তব্য করেন হায়রে মাদক, হায়রে প্রশাসন। কে করবে এর প্রতিকার? পুলিশ ও প্রশাসন ব্যস্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে, পৌর কাউন্সিলর সাহেব আলি ব্যস্ত রেলওয়ের অকসনের মালামাল ক্রয় ও বিক্রয়ে। এ অবস্থায় জেলা শহর সহ সমগ্র পৌরসভা এখন মাদকে সয়লাব,অনান্য কোথাও মাদক প্রতিরোধ চালালেও এখানে তা নেই। উল্লেখ্য যে ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক নির্মূল পুলিশ করেছে এ ধরণের সংবাদ, সংবাদ মাধ্যম গুলোতে চোখে পরার মতো এ ছাড়াও নির্মূল অভিযান দেখিয়ে পুরুষ্কার নেওয়া-দেওয়ার মহোৎসব দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পৌর ঠাকুরগাঁওয়ের ১২ নাম্বারে মাদক জি’য়ে রেখে মাদকের রমরমা বাণিজ্য ও এ অবস্থার ১ ঘন্টার জন্যও বন্ধ হয়নি। জানা যায় ১ কেজি গাঁজা ৪ হাজার টাকা ক্রয় করে এলাকার ব্যবসায়িরা খরিদারদের নিকট বিক্রি করছে প্রায় ৫১ হাজার টাকা। তাদের লাভের ৭৫ ভাগ টাকাই তারা নিরাপত্তা খাতে ব্যবহার করছে। এই মাদক বস্তিতে ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১০-১২কেজি গাঁজা সহ অনান্য মাদক দ্র্রব্য বিক্রি হয়ে আসছে। এই বস্তিতে অনান্য হাজারও খরিদারের মাঝে সম্প্রতিযোগ হয়েছে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ ও জেলা স্কুলের নেশায় আসক্ত শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ১২ নাম্বার ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল করিম জানান এ এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে কি হবে না তা একান্তই বিষয় পৌরমেয়র ও প্রশাসনের তবে এলাকাবাসী বিকল্প চিন্তা করছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের বড় ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন মনে করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী।