দূর্নীতির জন্য ডিও- বাবুদের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম কৃষকের গম ক্রয়ে ঠাকুরগাঁও খাদ্য দপ্তরের মহা-দূর্নীতির মহা বিজয়
আব্দুল মতিন বাহার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য দপ্তরে চলতি গম মৌসুমে (২০১৭) কৃষকদের নিকট গম ক্রয় দেখানো হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেঃ টন। ১৮ এপ্রিল থেকে এ যাবৎ গম ক্রয় দেখানো হচ্ছে। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে এ জেলার কৃষি কার্ড তালিকা ভূক্ত প্রায় ৮ লাখ কৃষকের নিকট থেকে গম ক্রয় করা হবে। এই কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হয়ে সরকার গম ক্রয় করবে প্রতি কেজি ২৮ টাকা দরে। এ জেলায় কোথাও কোন কৃষকের নিকট ১ টিও, গম ক্রয় করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দূর্নীতি স্পেসালিষ্ট ডিও- বাবুদের আগমন, দূর্নীতির শুভেচ্ছা স্বাগতম। কৃষকের গম ক্রয়ে ঠাকুরগাঁও খাদ্য দপ্তরের মহা-দূর্নীতির মহা বিজয় হয়েছে বলে জেলার কৃষকরা জানিয়েছেন। গম প্রতি কেজি ১০ টাকা বাজার দর থেকে সরকারি ক্রয় দরে মুনাফা রেখে, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও দূর্নীতি স্পেসালিষ্ট ডিও,বাবুদের মাধ্যমে বিভিন্ন নাম দিয়ে গম সরকারের নিকট বিক্রয় দেখিয়েছেন। গম ক্রয়ে প্রায় ৩২ কোটি টাকা, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও দূর্নীতি স্পেসালিষ্ট ডিও, বাবুরা এ টাকা তারা মুনাফা লুটেছেন। এ খাদ্য দফতরের গম ক্রয়ের মহা-দূর্নীতির কার্যক্রমগুলো এ দফতরের মন্ত্রী ঠাকুরগাঁও এ এসে ফিরে যাওয়ার পরেই তাদের ইঙ্গিতে এই মহা দূর্নীতির কাজ শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। কৃষকদের নিকট ১টিও গম ক্রয় করা হয়নি, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর উপজেলার ৮নং ইউনিয়নের তালিকা ভুক্ত ২ হাজার ৮ শত কৃষি কার্ড ধারী কৃষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, এদের মধ্যে কৃষকগণ আমাদের কে জানান। এই ইউনিয়নে গম সরকারি ভাবে ক্রয় হয়েছে ৪ শত ৩ মেঃ টন । সরজমিনে দেখা গেছে ওই ইউনিয়নের ১ জন কৃষকও গম সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে দেয়নি বা নেওয়া হয়নি। অভিযোগে জানা যায় ডিও,বাবুরা এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ করে কৃষকের কৃষি কার্ড গুলো দালালদের মাধ্যমে ভাড়ায় ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও কিছু কিছু অকৃষকদের কৃষি কার্ড সরবরাহ দিয়ে ওই কৃষকদের মাধ্যমে বিক্রয় দেখানো হয়েছে বলে তারা জানান। অনুসন্ধানে জনা গেছে সরকারী দলের নাম ভাংগিয়ে দূর্নীতি স্পেসালিষ্ট ডিও বাবুদের প্রধান মোস্তফা আর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সিংহ, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান মূল ভূমিকায় থেকে ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে কৌশলে কৃষকের কার্ড হাতিয়ে গম ক্রয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবসায় তারা গত বছরের মতো পুনরায় মেতে উঠেছেন। জেলা প্রশাসক ও খাদ্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি আব্দুল আওয়াল জানান, কৃষি বিভাগের তালিকা অনুযায়ী প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে গম নেওয়া হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ সংবাদ মাধ্যমের কাছে সদুত্তর প্রদান করতে পারেন নি। কৃষক নেতারা জানান এ সময়ে কৃষকদের নিকট উৎপাদিত গম থাকার কথা নয়। কৃষকদের জন্য ভুত্তূকির টাকা কৃষকদের দেওয়ার কথা থাকলেও কৌশলে একের পর এক এই টাকা খাদ্য দপ্তরে র লোকজন ও ডিও বাবুরা দলিয় কতিপয় দূর্নীতিবাজ নেতাদের সহযোগিতায় হাতিয়ে নিচ্ছে এবং জেলার বিভিন্ন সংগঠনের ভুখা-নাঙ্গা’রা ওই টাকার ভাগ পাচ্ছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সাবেক যুবলীগের জামালপুর ইউনিয়ন সভাপতি, সাবেক আওয়ামীলীগ এর জামালপুর ইউনিয়ন সেক্রেটারী, সাবেক জেলা কৃষকলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক, বর্তমান কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান বারবার এ জেলায় কৃষকের ভূর্তকির টাকা খাদ্য দপ্তরে র সরকারি কর্মকর্তারা লুটপাট করে আসছেন, এ ঘটনা প্রবাহ ফলাও করে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু এমপি, মন্ত্রী’রা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ওই দূর্নীতি স্পেসালিষ্টদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। এ কারণে এ জেলায় আগামি নির্বাচনে এর প্রভাব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নিকট তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও দূর্নীতি স্পেসালিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।