জেনেভা কনভেনশনের মারত্মক লংঘণ, ধামরাইয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসেও শ্রমিকদের আটকে রেখে গ্রাফিক্স গার্মেণ্ট টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ॥

DSC02685
জি.এম. ফিরোজ/গোপাল,ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর গ্রাফিক্স গার্মেন্ট এ্যান্ড টেক্সটাইল মিলে মহান মে দিবসেও (আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস)শ্রমিকদের আটকে রেখে জোর পূর্বক কাজ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে কারকানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শত শত শ্রমিকদের চাকুরি খাওয়ার ভয় দেখিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসেও এ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করায় সম্মিলিত শ্রমিক জোটসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে।ইহা জেনেভা কনভেনশনের মারাত্মক লংঘণ বলে তাদের দাবি।

রোববার ( ১মে)সরেজমিনে শ্রমিকদের ওই কারখানাটির ভেতরে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে দেখা গেছে। কারখানাটির ডাইং,ফিনিশিং ও কোয়ালিটি সেকশনসহ কারখানাটির সকল বিভাগই চালু ছিল। সকাল ৬টা থেবে দুফুর ২টা পর্যন্ত কারখানাটি চালু রাখা হয়। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে কারখানাটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ বাকি সময়ের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে। মহান মে দিবসে শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানোয় শ্রমিকরা নাখোশ ছিল। এরপরও তারা চাকুরি যায়ার ভয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক রোববার আর্ন্তাতিক শ্রমিক দিবসের দিনেও কাজে যোগ দেয়।
এব্যাপারে কারখানার সহকারি ব্যবস্থাপক(প্রশাসন)মোঃ আবু সাইয়িদ বলেন,শ্রমিকরা সারা বছর কারখানায় কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কাজেই কারখানার প্রয়োজনে তারা আজকের দিনে কাজে এসেছে। এতে অপরাধ কোথায়। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কি তাদের খেতে পড়তে দেবে! নাকি কারখনা খেতে পড়তে দেবে। এ কথা ভেবেই শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা জানান,কাজে না এলে কর্তৃপক্ষ চাকুরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে। কাজেই চাকুরি হারানোর ভয়ে শ্রমিকরা মে দিবসেও কাজে যোগ দিয়েছে।

এব্যাপারে শ্রমিক ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন,১৮৮৬সালে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমেরিকার ছিকাগো শহরের রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়। এ দিনটির স্বরণে আজ ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস(মহান মে দিবস)পানৈ করা হয়। আর সেই দিনটিতে শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করা জেনেভা কনভেনশনের মারত্মক লংঘণ। কাজেই কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *