তাড়াইলে আশরাফুলের সফলতা! ডিজিটাল ডিভাইস আবিষ্কার
আবুল কালাম ভূঞা, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) থেকে: কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামের গিয়াসউদ্দিন রেজার ছেলে আশরাফুল আলম পিপুলের (১৮) ডিজিটাল টেকনোলজি ‘লো কস্ট হাই ইফিসিয়েন্সি সুইচিং সিস্টেম আবিষ্কার করে যুগন্তকারী সাফল্য দেখিয়েছেন। সরজমিনে আশরাফুলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট ইলেকট্রনিক্স বিভাগের চতুর্থ সেমিষ্টারে অধ্যায়নরত। সে তার মেধা দিয়ে ডিজিটাল যুগে লো কষ্ট হাই ইফিসিয়েন্সী সুইচিং সিস্টেম আবিষ্কার করে নতুন এক সাফল্যের দ্বার উন্মোচন করেছেন। এটি ডিজিটাল কোডিং সিস্টেমের টবল মোডে কাজ করে। যা প্রচলিত সিস্টেমে কখনোই সম্ভব নয়। আবার এটি রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রচলিত বৈদ্যুতিক সুইচিং এর পরিবর্তে এই প্রকল্পের ১২টি বাটন দিয়ে ১৬৪টি সুইচের লোড নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি ৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৪ ইঞ্চি প্রস্থ জায়গায় স্থাপনে ১২শ টাকা খরচ হয়। অপরদিকে বাজারে প্রচলিত বৈদ্যুতিক ১৬৪টি সুইচের জন্য প্রায় ৪ হাজার ১০০ টাকা এবং ৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ জায়গার প্রয়োজন হয়। আশরাফুলের উদ্ভাবিত ডিভাইসের স্থায়িত্বকাল কমপক্ষে ২০ বছর। উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেও নিরাপদ। আশরাফুলের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, তার উদ্ভাবিত ডিভাইস তৈরি করতে ট্রায়ার, আইআর সেন্সর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, ক্যাপাসিটার, রেজিষ্টর, আইসি বেজ, ভেরো বোর্ড, ক্যাবল, এ্যাবুনাইটশীট ও প্লাষ্টিক বোর্ডের প্রয়োজন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাসের ২ তারিখে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রেষ্ট তরুণ উদ্ভাবক হিসেবে তাকে পুরষ্কৃত করা হয়। সবশেষে আশরাফুল জানায় এই প্রকল্পটি আজ পর্যন্ত কোন জায়গায় ব্যবহার করা হয়নি। এই প্রকল্প ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ভাবে বিরাট লাভবান হওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সিলেট চেম্বার অব কর্মাস এর সভাপতি এম ডি লাইছ উদ্দিন তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিটি তাদের সংগঠনের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য আশরাফুলের কাছে প্রস্তাব করেন কিন্তু সে তার উদ্ভাবিত ডিভাইস দেশের জনগনের স্বার্থে সরকারে কাছে হস্তান্তর করতে ইচ্ছুক।