সাভারে ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে বেড়ে চলেছে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ।
চিফ রিপোর্টার : সাভারে ও আশুলিয়ার দেশের বিভিন্ন এলাকায় যখন তীব্র গ্যাস সংকট চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে বেড়ে চলেছে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ। অভিযোগ রয়েছে লাইনম্যানরা তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে তাদের এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। শুধু তিতাসের কর্মকর্তাই নয় কথিত এই লাইনম্যানরা আশুলিয়া থানা পুলিশকেও মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আশুলিয়ার কাঠগড়া , ধোলপুর, চানগাও দোসাইদ , মিল কারখানা এভাবে এলাকায় স্থানীয় জুলফিকার ইউপি সদস্য হো ও জিরানী কোনা বাড়ীর তমিজউদ্দিন বাড়ি ঘেঁষে কয়েকদিন ধরে একটি চক্র রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিচ্ছেন। আর এই চক্রটি প্রতিটি সংযোগ বাবদ বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকা।
অবৈধ সংযোগ প্রদানকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লাইনম্যান বলেন তিতাসের সাভার অফিস ও আশুলিয়া থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এই অবৈধ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। ওই লাইনম্যান বলেন, ‘আশুলিয়া থানার ওসি আমাদের এই কাজের সমর্থনে রয়েছেন। ওসি সাহেব ১০০ পারসেন্ট ফেভারে আছেন।’
আশুলিয়ার থানা ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, ‘আমি তো তিতাসের কেউ না। তিতাস কর্তৃপক্ষ ম্যাজিস্ট্রেট পাঠালে আমরা সাহায্য করব। এ ছাড়া তিতাস কর্তৃপক্ষ যদি মামলা করে তাহলেও আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেব। অন্যথায় কিছু করার নাই।’
গত দুই মাস আগে আশুলিয়ার কলতাসূতি এলাকায় অপর এক লাইনম্যান তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদকারী শিমুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবিকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন ওই লাইনম্যান। এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রবি নিরাপত্তা চেয়ে পরবর্তীতে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
জিরানী টেঙ্গুরী এলাকার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা গ্যাসের চাপ একদম থাকে না। মাঝরাতের দিকে কিছুটা চাপ থাকলেও ভোর হতে না হতেই আবার সংকট দেখা দেয়।’
রেজাউল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা বৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ নিয়ে বর্তমানে তীব্র গ্যাস সংকটে আছি। আর কিছু অসাধু লাইনম্যান রাতের আঁধারে অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ দিচ্ছে বাড়ি বাড়ি। তাহলে গ্যাসের সংকট সরকার কমাবে কী করে? বরং দিন দিন এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।’
এ বিষয়ে জানতে তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী অপারেশন কর্মকতা আলী আরশাফ বলেন আশুলিয়ার ও সাভার ১৮৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ কারীদের তালিকা করা হয় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এদিকে সাভার তিতাস গ্যাস ডিসট্রিবিউশন অফিসের ডি জি এম মোকছেদুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।