কমিটি বিহীন যুবলীগ ক্যাডাররা গভীর রাতে থানায় গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা

মোঃ মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস
কমিটি বিহীন যুবলীগ ক্যডার বাহিনী কর্তৃক সৈয়দপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল আউয়ালকে লাঞ্চিত ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সৈয়দপুর থানায়।
গত ১০ অক্টোবর সৈয়দপুর থানায় রাত সাড়ে ১১ টার সময় কমিটি বিহীন কয়েকজন যুবলীগ ক্যাডার থানায় গিয়ে একটি মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে অন্যায় দাবী নিয়ে ওসি তদন্তের রুমে গিয়ে মামলা দায়ের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে ওসি তদন্তকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওসি তদন্ত তাৎক্ষনিক এসপি সার্কেল সৈয়দপুর সাজেদুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দ্রুত থানায় চলে আসেন। সেই কমিটি পরিচয় বিহীন যুবলীগ নেতাদেরকে শান্ত করে পাঠিয়ে দেন। এব্যাপারে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি শহীদ পরিবারের সন্তান মহসিনুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান যে, গত ৫ মাস আগে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা যুবলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ভেঙ্গে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু নানা অপকর্ম দুর্নীতি ও দলীয় শৃঙ্খলার ভঙ্গের দায়ে ৪ মাস আগে আহ্বায়ক কমিটি ও বিলুপ্ত ঘোষণা পাশাপাশি জেলা কমিটিও বাতিল করা হয়। বার্তমানে সৈয়দপুরে পৌর যুবলীগ ও উপজেলা যুবলীগ কমিটি বিদ্যমান রহিয়াছে। যে সকল ক্যাডার থানায় গিয়েছিল তারা কোন কমিটিতে নাই। তারা প্রত্যেকে যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এরা সৈয়দপুরে বড় বড় বিল বোর্ড টাঙ্গিয়ে ভুয়া পদবী ব্যবহার করে নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন এবং যুবলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। ঘটনার খবর পেয়ে ১২টায় সৈয়দপুর থানায় গিয়ে দেখা যায় যে, আসাদুল ইসলাম আসাদ, মোস্তফা ফিরোজ, বাচ্চু এর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ওসি রুমে এসপি সার্কেলের সহিত কথা বলতে দেখা যায়। উল্লেখ থাকে আসাদ যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সৈয়দপুর টেন্ডার বাজি ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। এব্যাপারে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সংবাদের জের ধরে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এছাড়াও কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খানকে চাঁদা বাজি, টেন্ডার বাজি, সাধারণ মানুষকে হুমকি, সংখ্যা লঘুর বাড়ি দখলের চেষ্টা সাংবাদিক পেটানো, প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। তারপরেও দেখা যায় দিলনেওয়াজ খান পোষ্টারে যুগ্ম আহ্বায়ক যুবলীগ সৈয়দপুর লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছে সৈয়দপুর বাসীকে। কিন্তু তারপরেও থেমে নেই তাদের অপকম দলের নাম ভাঙ্গিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ থেকে পরিত্রাণ চায় সাধারণ মানুষ। সেই সাথে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন চায়। এব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুর অফিসার্স ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আউয়াল সাথে। তিনি ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন এরকম টুকিটাকি চাপ আসতে পারে এটি একটি সামান্য ঘটনা মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *