খালাফ হত্যা: হাইকোর্টের রায়ের পেপার বুক উপস্থাপন
ঢাকা : সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ এস আল আলী হত্যা মামলায় দেয়া হাইকোর্টের রায়ের পেপার বুক পড়া শুরু হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বুধবার পেপার বুকের অংশ বিশেষ উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় আসামিদের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন ভূইয়া।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট এ মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল এবং তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। বেকসুর খালাস দেয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীকে। নিন্ম আদালতের সাজা কমিয়ে হাইকোর্টের দেয়া এই যাবজ্জীবন ও এক আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সেই লিভ টু আপিলের পর গতকাল মঙ্গলবার রায়ের পেপার বুক পড়া শুরু হয়। এর আগে ২৩ জুলাই ২০১৪ ইং সালে রিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
আপিলে হাইকোর্টের রায়ের অংশ বিশেষ বাতিল চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ মার্চ মধ্যরাতের পর ঢাকার গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কে নিজের বাসার অদূরে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে গুলশান থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এই পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করে। নিম্ন আদালতের ফাঁসির এ রায় অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এ ছাড়া আসামিরা নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল দায়ের করে। ১ আগস্ট আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়ে ৩ নভেম্বর শেষ হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে আসামি সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। একই সঙ্গে মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর পলাতক আসামি সেলিমকে খালাস দেয় হাইকোর্ট।