ঢাকা: আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের দফতরে নির্যাতিত সাংবাদিকদের তালিকা পাঠাতে বললেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রোববার (০৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) এক আলোচনা সভায় তিনি তালিকার জন্য এ সময় বেঁধে দেন। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা শফিকুর রহমান, কুদ্দুস আফ্রাদ, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রত্যক্ষভাবে সরব ও মুখর। গত ছয় বছর ধরে গণমধ্যম প্রসারিত হচ্ছে। উন্নয়নের কারিগর শেখ হাসিনার সরকার সমালোচনা সহ্য করে। আমরা সংকোচন নয়, গণমাধ্যমের প্রসারণে বিশ্বাসী। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। এ বিচ্ছিন্ন ঘটনা সরকারের নীতি নয়। তারপরও এসব ঘটনা সরকারের নজরে এলে প্রতিকার করা হয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনে বর্তমানে ৭৭ জন সাংবাদিক কারাগারে রয়েছেন। সে তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো। দিবসটি উপলক্ষে আজ পত্রিকায় নির্যাতিত সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কালকের মধ্যে অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব সাংবাদিকদের তালিকা আমার দফতরে পাঠিয়ে দেন। আমরা দেখবো এসব সাংবাদিক কি কারণে হামলার শিকার হয়েছেন। কামারুজ্জামানের ফাঁসির ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফাঁসির পরে কোনো কোনো মিডিয়া লিখেছে ৩ মিনিট নাকি ১৩ মিনিটে রশিতে ঝুলানো ছিলেন কামারুজ্জামান। তার পায়ের রগ কীভাবে কাটা হয়েছে, মেরুদণ্ড কীভাবে থেঁতলানো হয়েছে- এসব রিপোর্টিংয়ে সাধারণ জনগণের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের সংবেদনশীল করা হয়েছে। এটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোন পর্যায়ে পড়ে তা জানতে চাই সাংবাদিকদের কাছে। আপনারা এ বিষয়ে বিবেচনা করবেন। এখানে অপরাধ সামনে না এনে এসব বিবরণ কিসের ইঙ্গিত? এছাড়া সাংবাদিকতার স্বাধীনতার নামে যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের এক পাল্লায় মাপা যায় কি না সে প্রশ্নও রাখেন তথ্যমন্ত্রী।