শার্শায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিনে পুস্টিকর খাবার’র ব্যবস্থা
বেনাপোল প্রতিনিধি : টিফিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি না গিয়ে বিদ্যালয়ে বসেই পুস্টিকর খাবার’র ব্যবস্থা করেছে জাপান বাংলাদেশ কালচারাল এক্সচেঞ্জ এ্যাসোসিয়েশন (জেবিসিইএ) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা ‘মডেল স্কুল লাঞ্চ প্রকল্প’ নামে এই প্রকল্প চালু করেছে যশোরের শার্শা উপজেলার চারটি বিদ্যালয়ে।
রবিবার বিকেলে উপজেলার যদুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক ড. মো. হুমায়ুন কবীর, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম শরিফুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী, শার্শা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, জেবিসিইএ জাপানের প্রতিনিধি মিসেস তোমোকো মাসমোতো, কান্ট্রি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম প্রমুখ।
জেবিসিইএর কান্ট্রি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান বলেন, শিশুরা খাবার পায় না বলে বিদ্যালয়ে যায় না। শিশুদের স্কুলমুখী করতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে শিশুদের দুপুরের খাবার নিশ্চিত করলে তাদের অপুষ্টি থাকে না। বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে এবং শিশুরা স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে। তিনি আরো বলেন, তিন থেকে চার বছর শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের জন্য মোট খরচের ৯৫ শতাংশ বহন করে জেবিসিইএ। এ ছাড়া যে সব বিদ্যালয়ে প্রকল্প চালু করা হয় সেখানে একটি রান্নাঘর ও রান্নার সরঞ্জাম দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। বাকি ৫ শতাংশ বহন করেন স্থানীয়রা।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন কেজি করে চাল দেয়। প্রয়োজনের পর যে চাল অবশিষ্ট থাকে তা বিক্রি করে ব্যাংকে রাখা হয়। এই কর্মকান্ডের আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে যাতে স্থানীয়রা কাজটি করতে পারে সে জন্য তাদের মধ্য থেকে সাতজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
শার্শা উপজেলার চারটি স্কুলের ১ হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থী মডেল স্কুল লাঞ্চ প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়ছে। ঝরে পড়ার হারও কমছে।