দামুড়হুদার চন্ডিপুর গ্রামের এক কিশোরীকে ভারতে পাচার, দিল্লির পতিতালয় থেকে প্রায় এক মাস পর উদ্ধার
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার সীমান্তবতী চন্ডিপুর গ্রামের করিমন চালকের কিশোরী কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের পর ধর্ষন শেষে পতিতালয়ে বিক্রি। ২৫দিনের মাথায় উদ্ধার কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে একই গ্রামের স্কুল পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৩) আবুল কালামের ছেলে বুদো (৪২) হাসিবুল পিতাঃ অজ্ঞাত ও মাহাবুল পিতা অজ্ঞাত নাম উল্লেখ দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্ডিপুর গ্রামের শহিদুল,বুদো, ও হাসিবুল পাচারের মাস খানেক অগে বুদোর শ্যালক মাহাবুল ইসলামের সাথে বিয়ের প্রলোভান দেখিয়ে করিমন চালকের কন্যাকে ফুসলাইতে থাকে। এরই জের ধরে ০৫/০৩/১৭ তারিখ সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে নিজ বাড়ী থেকে ফুসলাইয়া ছোট বলদিয়া গ্রামের জিয়া নামের এক জনের বাড়ীতে রাখে। পরদিন ৬/০৩/১৭ তারিখে তারা তার কন্যাকে ভারতের কৃষœনগরে অজ্ঞাত ব্যক্তির বাড়ীতে ৫দিন আটক রেখে বিবাদিগণ কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এর পর ১২/০৩/১৭ তারিখে কৃষœনগরের মেঘা নামের এক ব্যক্তির সাথে তাকে ভারতের দিল্লির এক ব্যক্তির বাড়ীতে আটক রেখে মেঘাসহ সকলে তাকে আবারো ধর্ষন করে ও দিল্লির অজ্ঞাত ব্যক্তির নিকট ৩ লক্ষ টাকায় দিল্লির এক পতিতালয়ে বিক্রয় করে। সেখানে ১০দিন থাকার পর কিশোরি জামাল নামের এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। জামালের সাথে ঘটনাটি জানালে জামালের মাধ্যমে কিশোরী তার খালার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কিশোরীর পরিবার জামালের সাথে যোগাযোগ করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামাল কিশোরীকে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের ইসরাফিলের বাড়ীতে পৌছে দেয়। এরপর গতকালই দুপুরে কিশেরীর করিমন চালক পিতা তার কিশোরী কন্যাকে নিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে।