নাগরপুরে মাদরাসা সহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

20170219_125606_resized_1নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকার কারনে সঠিক ভাবে পালিত হয় না আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেনা। খোজ নিয়ে জানা গেছে বিশেষ এই দিনে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে নাগরপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫২ টি , মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪১ টি, মাদরাসা ২৫ টি ও ৫ টি কলেজ সহ মোট ২২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও কি পরিমান প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য নেই উপজেলা শিক্ষা অফিসে। সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলা সদরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ শত এবং শহীদ শামসুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও তার পাশে নাগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ শত অথচ এসব প্রতিষ্ঠানে আজও তৈরী হয়নি কোন শহীদ মিনার। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কোন শহীদ মিনার না থাকায় প্রতি বছর ভাষা শহীদদের স্মরনে উপজেলা সদরে অবস্থিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এ সকল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ঠিক এমনই ভাবে উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার গড়ে উঠেনি। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অমর একুশে, ভাষা আন্দোলন কিংবা আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিয়ে শহীদদের যথাযথ সম্মান জানাতে পারছেনা সহসাই। অন্য দিকে উপজেলার মাদরাসা গুলোর অবস্থা আরো শোচনিয়। খোজনিয়ে জানা যায়, উপজেলার কোন মাদরাসায় আজ পর্যন্ত কোন শহীদ মিনার গড়ে উঠেনি। ধুবড়িয়া আলিফ উদ্দিন ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম অমর একুশে পালনের কথা বললেও অধিকাংশ মাদরাসায় তা পালিত হয় না। ফলে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অমর একুশের তাৎপর্য সম্পর্কে অজ্ঞই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা ভাষা আন্দোলন দেখিনি তবে বইয়ে পড়েছি তাদের আত্মত্যাগের কথা। অথচ ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও পারছিনা বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায়। সরকার হাজার হাজার টাকা খরচ করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কিন্তু গুরুত্বপূর্ন এ বিষয়টির প্রতি নজর দিচ্ছেনা। আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি দ্রুত যে সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেখানে তা স্থাপন করার জন্য। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, বই পড়ে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে জানতে পারলেও এর তাৎপর্য ও ব্যাপকতা বুঝতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনা স্থাপন করা জরুরী। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম জানান, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার হোক সেটা আমরাও চাই কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা না থাকায় কোন পদক্ষেপ নিতে পারছিনা অপর দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, যে কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই তাদের তালিকা করে সেখানে শহীদ মিনার স্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *