পলাশবাড়ীতে সন্ত্রাস ও নাশকতার প্রতিরোধে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত গ্রাম পুলিশকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন ॥ থানায় মামলা
আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত গ্রাম পুলিশকে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে শিরিবকর্মীসহ ৪জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের। এ ঘটনায় জড়িত বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান রোজিফা আক্তার মিনাকে অজ্ঞাত কারণে আসামী না করলেও এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী তাকে দায়ী করা হয়েছে। জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় দীর্ঘদিন থেকে সন্ত্রাস ও নাশকতা হওয়ায় পলাশবাড়ী থানা পুলিশ জনগণের জানমালের কথা বিবেচনা করে পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কে নাশকতা প্রতিরোধে আনসারের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করে। গত ৫ এপ্রিল রাতে পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কে ঝিলবান্ধা নামক স্থানে গ্রাম পুলিশ রবিদাসসহ ৪জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় টহলরত পুলিশ স্থানীয় শিবিরকর্মীদের বাড়ীতে অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযান নিস্ফল হলেও পুলিশ অভিযানের জন্য গ্রাম পুলিশ রবিদাসকে মোবাইলের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান মিনা সন্দেহ করে তাকে চাকুরীচ্যুত করাসহ জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা গ্রাম পুলিশ রবিদাসকে শারীরিক নির্যাতনসহ হাত-পা বেধে মাথা নিচে পা উপরে রেখে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাত ১০টার দিকে রবিদাসকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রবিদাস বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ দিকে ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টির সত্যতা জানতে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। থানা অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ না করে মামলা দায়ের হলেও এজাহারে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।