আদমদীঘির চাঁপাপুরে নাগর নদে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন ও মাটি কাটার মহাৎসব আবাদি জমিসহ বসতবাড়ী হুমকির মুখে
আদমদীঘি প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বাঘাদহ-কালিতলা নামকস্থানে নাগর নদে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি উত্তোলন ও বাঁধ ঘেঁষে মাটি কাটার মহাৎসব চলছে। এক শ্রেনীর অসাধু লোক আইনকে উপেক্ষা করে বালি উত্তোলন ও মাটি কেটে নেয়ায় এলাকার শতশত একর ফসলি জমি ও বাঁধ দেবে ফাটল এবং বাঘাদহ, কালিতলা, পালংকুড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ী হুমকির মূখে পড়েছে। প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিবছরই প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদের বাঁধ ভেঙ্গে বর্ষা মৌসুমে পানি উপচে পড়ে এলাকার বিপুল পরিমান আবাদি জমির ফসল নষ্ট, বসত বাড়ির ক্ষতি এবং বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া জমিতে পলি পড়ে আবাদের ফলন কমে যায়। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ওই এলাকায় নাগর নদের ধার দিয়ে বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁপাপুর ইউনিয়নের বাঘাদহ-কালিতলা এলাকায় এক ব্যাক্তি প্রভাব বিস্তার করে নাগর নদের পানিতে নৌকার উপড় শ্যালো মেশিন বসিয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর তলদেশ থেকে বালি উত্তোলন ও স্থানীয় কিছু লোক বাঁধ ঘেঁষে মাটি কাটার মহাৎসব চালাচ্ছে। ড্রেজারের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করে ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে বালি বিক্রি ও মাটি কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন স্থাপনে নদীর গভীর পর্যন্ত খনন হওয়ায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বাঁধের পাড় দেবে ও ভেঙ্গে পাশের বাঘাদহ, কালিতলা, বাশলিপুকুর ও পালংকুড়িসহ কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ী ও বাঁধ এলাকার শতশত একর ফসলি জমি দেবে ফাঁটল ধরে হুমকির মুখে পড়ে। অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিবছরই এদের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বালি উত্তোলনকারি শাহিনের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার রেজাউল করিম জানান. উপজেলায় বালি মহাল নেই নদ থেকে কেউ অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হবে।