সৈয়দপুরে ক্ষমতাধর যুবদল নেতা রেলের জীবিত গাছ কর্তন ও অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস : ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ইং তারিখ সোমবার স্থানীয় পত্রিকায় রেলের জীবিত গাছ চুরির সংবাদ প্রকাশিত হলে এবং বলা হয় যে, সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য যুবদল নেতার পরিকল্পনা চলছে। আরও বলা হয় যে, উক্ত ভবনটি নির্মিত হলে হুমকির মুখে পড়বে রেলওয়ের এসপি সাহেবের অফিস, পুলিশ ব্যারাক, অস্ত্রাগার, গোলাবারুদ। সংবাদটির গুরুত্ব বুঝে ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ইং তারিখে রেলওয়ের এসপি মহোদয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ইং এসএসএই/ওয়ার্কস জনাব মোঃ তহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ রেলওয়ের নং-পি/১ স্মারকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর থানায় রেলওয়ের ভূমিতে অবৈধ গাছ কর্তন ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত যুবদল নেতা জনাব তাজুল ইসলাম, পিতা- মৃত আব্দুস সাত্তার, নতুন বাবুপাড়া হাজী কলোনী, সৈয়দপুর উক্ত ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন। তারপরেও উক্ত ক্ষমতাধর যুবদল নেতা নির্মাণ কাজ বন্ধ না করলে ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ইং তারিখে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কানুনগো আবারও উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেও কাজ বন্ধ না হলে রংপুর থেকে প্রকাশিত ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ইং দৈনিক রংপুর থেকে প্রকাশিত দাবানল পত্রিকায় ক্ষমতাধর যুবদল নেতার ক্ষমতার উৎস কোথায় মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ইং সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। ৪ দিন কাজ বন্ধ থাকার পর উক্ত যুবদল নেতা ১৩ ডিসেম্বর হতে আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলাও গ্রহণ করেননি। ফলে মনে হচ্ছে তিনি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা সৈয়দপুর। এখানে কোন বহুতল ভবন করতে গেলে পৌরসভার অনুমতি লাগে। কিন্তু সেটিও তার কাছে নাই। পৌরসভার প্রশাসন, স্থানীয় রেল প্রশাসন ও গুটি কয়েক সরকার দলীয় নেতাকে মোটা অংকের উৎকোচ দিলেই সহজেই সৈয়দপুরে করা যায় রেলের জায়গায় অবৈধ বহুতল ভবন। সৈয়দপুরে রেল মন্ত্রণালয়ের রেল মন্ত্রী কিংবা রেল সচিব ও সংসদীয় কমিটির সদস্যরা আসলে যাতে কোন সাংবাদিক কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতির কথা বলতে না পারে এজন্য স্থানীয় ঐ সকল দুর্নীতিবাজ প্রশাসন ও স্থানীয় এক রেল শ্রমিক নেতা থাকে সদা প্রস্তুত। যাতে কেউ কিছু বলতে না পারে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ সহ হুমকি ধামকিও সাংবাদিকের দিকে থাকে ওই শ্রমিক নেতাসহ সিন্ডিকেট চক্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং পাশাপাশি একথাও বলেছেন, সন্ত্রাসী যে দলেই হোক, যত বড় ক্ষমতাধর হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে একই কথা বলেছেন। কিন্তু সৈয়দপুরে মনে হচ্ছে তাজুল ইসলামের ক্ষমতার হাত খুবই উপরে, এখানে তার বিরুদ্ধে কাজ করছে না কোন প্রশাসনই। ফলে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের।