এক মাসেও সনাক্ত হয়নি শেরপুরে কলেজ ছাত্র আকাশের হত্যাকারীরা
হারুনুর রশিদ, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে কলেজ ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম আকাশ হত্যা মামলার দীর্ঘ একমাস পেরিয়ে গেলেও উদঘাটিত হয়নি হত্যা রহস্য। সেই সাথে হত্যার ঘটনায় এখনও শনাক্ত বা গ্রেফতার হয়নি কোন দুর্বৃত্ত। অন্যদিকে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত ও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন আকাশের পরিবার।
জানা যায়, শেরপুর শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত মফিজুল ইসলামের একমাত্র পুত্র ও শেরপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ ১১ অক্টোবর বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এর ৬ দিন পর ১৭ অক্টোবর দুপুরে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে তার লাশ পাওয়া যায়। ঐ দিন রাতে শেরপুর সদর থানায় আকাশের চাচা সুমন রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
অন্যদিকে মামলার পরদিনই শহরের নিউমার্কেট মোড়ে শেরপুর সরকারি কলেজ ও ভিক্টোরিয়া একাডেমীর শিক্ষার্থীরা আকাশ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করে। কিন্তু মামলার দীর্ঘ একমাস পরও এখনও উদঘাটিত হয়নি হত্যার রহস্য এবং শনাক্ত ও গ্রেফতার হয়নি ঘটনায় জড়িত কোন দুর্বৃত্ত। ফলে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিয়ে হতাশায় ভুগছেন আকাশের পরিবার ও তার সহপাঠীরা।
এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে মামলার বাদী সুমন রহমান ১৬ নভেম্বর বিকেলে জানান, অজ্ঞাত শত্রুতার কারণে হয়তো আকাশকে বেড়ানোর ছলে ময়মনসিংহ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সেই দুর্বৃত্তরা আকাশের পূর্ব পরিচিত ও ঘনিষ্ঠও হতে পারে। তবে ঘটনার পূর্বে আকাশ মোবাইলে যাদের সাথে কথা বলেছিল তাদের কললিস্ট বেশ আগেই সংগ্রহ হওয়ার পরেও তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, কলেজছাত্র আকাশ হত্যা মামলায় এজাহারে কাউকে আসামী করা হয়নি। ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে মর্মে কারও সম্পর্কে সন্দেহও প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনার পূর্বে আকাশ যাদের সাথে মোবাইলে কথা-বার্তা বলেছিল তার কললিস্ট সংগ্রহ করে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণসহ তদন্তে অগ্রগতি সম্ভব হবে।