দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় লাখো মানুষের ভোগান্তি চরমে কেশবপুরÑবেতগ্রাম ভায়া ভালুকঘর সড়কটির বেহালদশা

keshabpur-jessore-02-11-16-2
আবু হাসান, কেশবপুর (যশোর) : যশোরের কেশবপুরে উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক কেশবপুরÑবেতগ্রাম সড়কের কেশবপুর থেকে ভালুকঘর পর্যন্তদীর্ঘ ৭ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় হাজারো খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় লাখো মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে এখন এই সড়কটি মানুষের জন্য মরন ফাঁদে পরিণত হয়ে।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে থাকা এই সড়কটি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র জরুরী ও গুরুত্বপুর্ণ মাধ্যম হলেও দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় শত-শত গর্তের। যার ফলে চলাচলের অনুপোযোগী এই সড়কটি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে চরম ভোগান্তির আর এক নাম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এই সড়কটি দিয়ে শুধুু কেশবপুর উপজেলার মানুষ নয়; আমাদের পার্শবর্তী সাতক্ষীরা জেলার তালা-কলারোয়া ও মনিরামপুর উপজেলার অসংখ্য মানুষ চলাচল করে থাকে। গুরুত্বপুর্ণ ও ব্যাস্ততম সড়কটির বেহালদশা দেখার কেউ নেই। কেশবপুর থেকে ভালুকঘর পর্যন্ত প্রায় ৭কিঃ মিঃ এর মধ্যে প্রায় ৭ কিঃ মিঃ সড়কই ভেঙ্গেচুরে ছোট-ছোট নালায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় বাস ট্রাক আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন মানুষের আর ভোগান্তির শেষ থাকে না। ঘটছে ছোট বড় একাধিক দুর্ঘটনা। সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী, ঝিকরা, চিংড়া, বিষ্ণুপুর, ফতেপুর, গোবিন্দপুর, মেহেরপুর, কাস্তা, বারুইহাটী, বুড়িহাটি, শ্রীরামপুর, সরাপপুর, বরণডালী, শাহপুর, মির্জানগর, হিজলতলা, পাত্রপাড়া, শিকারপুর, ভালুকঘর, চালিতাবাড়িয়া, শ্রীরামপুর, দত্তনগর, সরসকাটী, জাহানপুর, রঘুরামপুর, বাঁশবাড়ীয়া, গোপসেনা সহ পার্শবর্তী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ও তালা উপজেলার র্শাশা জয়নগর ধানদিয়া চকজয়নগর বাটরা সিংহলাল সেনেরগাতী গ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষের চলা-চল এই জরাজীর্ণ অবহেলিত সড়কটি দিয়ে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেশবপুরের রূপকার সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক এর সহধর্মিনী ইসমাত আরা সাদেক ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ কেশবপুর আসন থেকে সরাসরি এমপি নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। দায়িত্ব গ্রহনের পর কেশবপুরকে মডেল উপজেলার করার লক্ষ্যে একটি বৃহত্তর প্রকল্প হাতে নেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ বছরে বিভিন্ন অঞ্চলে কাচা-পাকা সড়ক ও ভবন নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নায়ন কর্মকান্ডে কোটি কোটি টাকার উন্নায়ন সম্পন্ন হলেও যে সড়কের সাথে লাখ-লাখ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন জড়িত সেই গুরুত্বপুর্ণ সড়কটিতে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের মডেল উপজেলার কোন ছোঁয়া লাগেনি আজ অবধি। তাই মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই অবহেলিত জনপদের লক্ষ-লক্ষ মানুষের একটাই প্রাণের দাবী, মানুষের পদভারে ছিন্ন-ভিন্ন সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা। সড়কটির বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার আলী নুর জানান, জেলা সড়ক উন্নায়ন প্রকল্পের আওতায় কেশবপুর-বেতগ্রাম, কেশবপুর-সরসকাটী সড়কসহ ৩টি সড়ক রয়েছে। কেশবপুর-বেতগ্রাম. সড়কের যাবতীয় ইষ্টিমেট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *