ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ অভিযান-২০১৬ এ দাকোপের মৎস্য দপ্তরের সাফল্য

sam_1719
তাপস মহালদার : এ বছর খুলনা জেলায় দাকোপ উপজেলার মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জেগেছে যে, মা ইলিশ না ধরলে ইলিশের উৎপাদন বাড়ে, তুলনামূলক কম দামে ইলিশ খাওয়া যায় ও বড় ইলিশ উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। নিকটবর্তী পশুর নদীতে অভিযান চলাকালীন কোন জেলেরা নেই। জেলেদের নিকট থেকে জানা যায়, তারা সরকার ঘোষিত এ আইন মেনে চলে আগের তুলনায় খুবই ভাল আছে। কারণ তারা এ বছর নদীতে বড় ইলিশ পেয়েছে প্রচুর, যার কারণে অধিক মূল্য পেয়েছে। আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দু’একটা নৌকা চুরি করে যেতে চাইলে তাদের মৎস্য কর্মকর্তা, জনগণ ও জেলে সবাই মিলে বাঁধা দিচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তা বাদল বাবু ও সাইফুল ইসলামের কাছে অভিযানের সাফল্য কতটুকু জানতে চাইলে বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে অভিযান সাকসেসফুল। আমরা আমাদের স্যার জয়দেব পালের পরিচালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দে এর নির্দেশনায় দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। কি হয়েছে তা জনগণও জেলেরাই সঠিক করে বলতে পারবে। এলাকার মৎস্যজীবিদের কাছে মৎস্য কর্মকর্তাদের বিষয় জানতে চাইলে বলেন বর্তমানে বাদল বাবু ও সাইফুল ভাই আমাদের এলাকায় যে সকল জেলেরা জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল তাদের এলাকাতে বিভিন্ন রকম ব্যবসার পরামর্শ দিচ্ছে। যেমনঃ এলাকাতে ছোট ছোট মাছের ঘের করা, কাঁকড়ার হ্যাচারী করা ইত্যাদি। তাতে উদ্ভুদ্ধ হয়ে অনেকেই কাঁকড়ার হ্যাচারী শুরু করেছে, লাভও পাচ্ছে। এর ফলে জঙ্গলের উপর জীবন ধারণের নির্ভরশীলতা কমে যাচ্ছে। মানুষের জীবনের ঝুঁকি হ্রাস পাচ্ছে। এমন কর্মকর্তাদের যদি জনগণ তাদের কাজে সাহায্য করে তাহলে দাকোপ থানা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ হবে। জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে। এই মৎস্য বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়ে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো দৃঢ় হবে। একই সাথে দাকোপ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *