৮৭ বছরেও সরকারী করণ হয়নি সান্তাহার বিপি উচ্চ বিদ্যালয়

pic-30-10-16
আদমদীঘি প্রতিনিধি : বগুড়ার সান্তাহারে সবচেয়ে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ সান্তাহার বিপি উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ৮৭ বছরেও সরকারী করণ করা হয়নি। সান্তাহার পৌর শহরের মেইন রোড কলসা রথবাড়ীতে অবস্থান, অভিঞ্জ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম, পাবলিক পরীক্ষায় সন্তোষ জনক ফলাফল সহ সরকারী করনের সকল দিক দিয়ে উপযুক্ত থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়টি সরকারী করণ না হওয়াতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অবিভাবক মহলে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। সান্তাহার পৌর শহরের ১৯২৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বনমালী সাহা ও পরমেশ্বর মন্ডলের নাম অনুসারে বিদ্যালয়টির নামকরন করা হয় বি.পি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু সতেন্দ্রেনাথ সরকার।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাগনের দানকৃত ৪ একর ৬৭ শতক জমির উপর এবং স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সাহায্য সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। অত্র বিদ্যালয়টি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প ছিল। তৎকালীন স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দের অসামান্য অবদান রয়েছে। স্বাধীনতার যুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান গ্রহন করায় পাকিস্তান পন্থিরা সম্পুর্ণ বিদ্যালয় ভবনটি আগুনে ভস্মীভুত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত করে। উল্লেখ করা যায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক এমপি ও গর্ভনর আলহাজ্ব কছিম উদ্দীন আহম্মেদ তৎকালীন সময়েও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন তার প্রচেষ্টায় যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়টি পুন: সংস্কার করে বর্তমানে অবকাঠামোগত অবস্থা ও বিদ্যালয়ের দ্বিতল মার্কেট ও তিন বিঘা পুকুর ইত্যাদি তার সু-ব্যবস্থায় মনোরম পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু দুভাগ্যের বিয়য় জাতীয় করন বা সরকারী করন হইতে অত্র বিদ্যালয়টি বার বার বঞ্চিত হইয়া আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ১০৫৫ জন ছাত্র অধ্যায়ন করছে। বিদ্যালয়টিতে ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান। বিদ্যালয়টি ২৫ টি শ্রেনী কক্ষ ও ১টি কম্পিউটার ল্যাব আছে। স্কুলটির পূর্ব পার্শ্বে বিশাল একটি খেলার মাঠ রয়েছে এবং এই মাঠটিতে বিভিন্ন খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হয়েছে এবং পরীক্ষার ভালো ফলাফলের স্বীকৃত স্বরুপ সরকার কর্তৃক ২০১৫ সালে এক লক্ষ টাকা পুরষ্কার ও একটি সনদ পত্র পুরষ্কার পেয়েছেন। জাতীয় ভাবে ক্রিকেট খেলায় উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অত্র বিদ্যালয়টি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাবেক এমপি ও গর্ভনর আলহাজ্ব কছিম উদ্দীন আহম্মেদ জানান, সান্তাহারে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহি বি.পি উচ্চ বিদ্যালয় কে গতিশীল ও মানোন্নয়নে আমি সর্ব্বোচ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারী করনে আমি সান্তাহার পৌর বাসীর দোয়া ও সমর্থন চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *