দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা কযে়ক হাজার নির্ভর করে এ পেশার উপর

%e0%a6%a6%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%a3-%e0%a6%aa%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%9c
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট সহ ১০ জেলার শীতের শুরুতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেজুর রস সংগ্রহকারীরা। কযে়ক হাজার গাছির সারা বছরের রুজিরুটির নির্ভর করে এ পেশার উপর। এখনো শীতের তীব্রতা দেখা না মিললেও এরই মধ্যে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। তবে খেজুরগাছ সঙ্কটের কারণে এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন সংগ্রহকারীরা।
আমাদের বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবিরের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় সরেজমিনে বাগেরহাটে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার এক সময় খ্যাতি থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড়। কয়েক বছর আগেও এলাকার প্রতিটি বাড়িতে, খেতের আইলের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুরগাছ। কোনো পরিচর্চা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠতো খেজুরগাছগুলো। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো গুড়। অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় এলাকার চাহিদা পূরণ করে বাড়তি গুড় সরবরাহ করা হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, লবণ পানির আগ্রাসন ও জ্বালানি হিসেবে ইট ও টালি পোড়ানোর কাজে অবাধে খেজুর গাছ ব্যবহারের ফলে মারাত্মকভাবে কমে যায় খেজুরগাছ। বর্তমানে বসতবাড়ি কিংবা তেখামারের পাশে এমনকি রাস্তাঘাটের পাশেও দেখা মিলে না খেজুরগাছের। অনেকটাই বিলপ্তির পথে পরিবেশবান্ধব গুরুত্বপূর্ণ এ গাছ। এক সময় রস সংগ্রহ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করলেও বেশির ভাগই ছেড়ে দিয়েছেন এ পেশা। দুই-একজন এখনো ধরে রেখেছেন।
খেজুর গাছ গাছি রস সংগ্রহকারী ফজলুশেখ, কাদের শেখ, রহমান ফকির জানান, তিন-চার দিন হচ্ছে রস সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো রস বেশি মিলছে না। শীত বাড়লে রসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে তারা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *