সাপাহার উপজেলা সদরকে পৌরসভা করার প্রসেস এখন ফাইল বন্দি
নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) : নওগাঁর সাপাহার উপজেলা শহরটি এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে পৌর সভায় রুপান্তরিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গনের গাফিলাতির কারণে তা ফাইল বন্দী হয়ে রয়েছে।
সাপাহার থানা মুলত পোরশা থানার অধীনেই ছিল, স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৮৩ ইং সালের দিকে পোরশা থানা হতে মানোন্নীত থানা পরে উপজেলা ঘোষনা হলেও উপজেলাবাসীর একাগ্রতা ও নিষ্ঠতা এবং বেশ কিছু প্রশানিক কর্মকর্তাগনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উপজেলাটি দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে গিয়ে জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে প্রথম সারির কাতারে স্থান করে নিয়েছে। শিক্ষার দিক থেকে ইতোমধ্যেই উপজেলাটি জেলায় প্রথম ও বিভাগীয় ভাবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বর্তমানে উপজেলা সদরেই রয়েছে ৩ টি কলেজ, ৫ টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন সহ ছোট বড় মোট ২০ টির মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা নগরী ও ব্যাবসা কেন্দ্র হিসেবে উপজেলটি গড়ে উঠায় বিভিন্ন এলাকা হতে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে বসবাস করায় বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃর্ন হয়ে গড়ে উঠেছে একটি মিনি শহর। ইতোমধ্যেই সদরে প্রায় ২৫ হাজার জনসংখ্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা কেন্দ্রের দিক থেকে উপজেলা শহরটি একটি আধুনিক পৌর সভা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সদর ও সদরের কোল ঘেষে ১, ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৪/১৫ হাজার, সে হিসেবে বেশ কিছুদিন পূর্বে এলাকার স্থানীয় ও জাতীয় সংসদ সদস্য বাবু স্ধান চন্দ্র মুজুমদার এমপি উপজেলাটির সার্বিক উন্নয়নে স্বচেষ্ট হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উপজেলা শহরটি পৌর সভায় রুপান্তরিত করার সার্বিক প্রসেস তৈরী করতে নির্দেশ দেন। এমপি মহোদয়ের এরুপ বক্তব্য শুনে উপজেলাবাসী আন্তারিকভাবে খুশির জোয়ারে ভাসলেও একে একে কয়েকজন নির্বাহী অফিসার বদলী হওয়ার পরেও সাপাহার উপজেলা শহরটিকে পৌর সভা করার প্রসেস প্রক্রিয়টি এখনও ফাইল বন্দি হয়ে রয়েছে ফলে সাপাহার সদরটি এখন পৌর সভায় রুপান্তর হওয়া সময়ের ব্যাপার হলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগনের গাফিলাতির কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। সাপাহারবাসী অনতিবিলম্বে সাপাহারকে পৌর সভা ঘোষনা করে এখানকার জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানউন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আকুল আবেদ জানিয়েছেন। সে সাথে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান ভূঞাঁ ও এ বিষয়ে আন্তরিক বলে তার মতামত জানিয়েছেন।