প্রাথমিক শিক্ষার জন উপবৃত্তি প্রকল্পে অনিয়মে, ইসলামপুরে ৪টি ভূয়া উপবৃত্তি কার্ডধারী মাদ্রাসার ৩ লক্ষ২৩হাজার ২০০ টাকা ব্যাংকে ফেরত!

7
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে প্রাথমিক শিক্ষার জন উপবৃত্তি প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের কারণে বিতরণ কেন্দ্রে সুবিধা ভোগী অভিভাক না থাকায় শনিবার দক্ষিণ চিনাডুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায় উপবৃত্তি বিতরণ কেন্দ্রের ভূয়া উপবৃত্তিধারী ৪টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৩ লক্ষ২৩হাজার ২০০ টাকা ব্যাংকে ফেরত গেছে। জানা যায়,শনিবার ওই কেন্দ্রে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও চিনাডুলী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী, বীর সাপধরী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী, পূর্বচিনাডুলী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী ও দেওয়ান পাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীর জন্য ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তির ১ম,২য়,৩য় ও ৪র্থ কিস্তির মোট ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু বিতরণ চলাকালে মাদ্রাসার কোন সুবিধা ভোগী অভিভাবক উপস্থিত ছিল না। উপস্থিত ছিল কয়েক জন মাদ্রাসার শিক্ষক। এলাকাবাসী জানায় সুবিধাভোগী ছাড়াই মাদ্রাসার শিক্ষকরা ব্যাংকার সহ বিতরণের দায়িত্ব প্রাপ্তদের ম্যানেজ করে ভুয়া ওই ৪টি মাদ্রাসার নামে বরাদ্দকৃত সরকারি ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ২০০ টাকা লুটপাটের চেষ্টা করে। এসময় ইসলামপুর প্রেসমিয়িার সাংবাদিকের উপস্থিতির কারণে ওই টাকা পরে ব্যাংকে ফেরত নিয়ে যায় রুপালী ব্যাংকের অফিসার সুবির কুমার বসাক ও দেলোয়ার হোসেন। এ ব্যাপারে উপবৃত্তি বিতরণে দায়িত্ব প্রাপ্ত রুপালী ব্যাংকের শাখা ব্যাবস্থাপক হাসান জাহিদ জানান, দক্ষিণ চিনাডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি বিতরণ কেন্দ্রে ওই ৪টি মাদরাসার কোন ছাত্র ছাত্রীর কার্ডধারী অভিভাবক উপস্থিত না পাওয়ায় ব্যাংকে টাকা ফেরত আনা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে,ইসলামপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব প্রাপ্ত ক্লাস্টার সহকারী শিক্ষা অফিসাররা মোটা অংকের টাকা ঘুষ হাতিয়ে নিয়ে কোন প্রকার তদন্ত যাচাই-বাছাই না করে অফিসে বসেই ইসলামপুরে সাইন বোর্ড সবর্স্ব এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে বেনামে ভূয়া সুবিধা ভোগী উপবৃত্তি তালিকায় চুরান্ত করেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ওইসব এবতেদায়ী মাদ্রাসার নেই কোন শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো। বছরের পর বছর শিক্ষকরা বিনা বেতনে চাকরী করার কারণে হাল ছেরে দিয়েছেন পাঠদানের। বাস্তব চিত্রে এসব এবতেদায়ী মাদ্রাসার পাঠদান না চললেও উপবৃত্তি টাকা তুলার জন্য নামে বেনামে প্রতিবছরই ভূয়া উপবৃত্তি ছাত্র চাহিদাপত্র জমা পড়ে শিক্ষা অফিসে। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকরা শিক্ষা অফিসারদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে উপবৃত্তি চাহিদা পাস করে নেয়। যার ফলে উপবৃত্তি বিতরণ কেন্দ্রে স্বতন্ত্র এবতেদায়ীর সুবিধা ভোগীরা অনুপস্থিত থাকে। ম্যানেজ সিস্টেমে হরিলুট হয় সরকারি টাকা। এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ জানান, আমি নতুন এসেছি,সহকারী শিক্ষা অফিসাররা কি করেছে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *