মঠবাড়িয়ায় কার্ডধারী এক হাজার চারশ জেলে পুনর্বাসনের চাল থেকে বঞ্চিত !
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে জাটকা নিধন বন্ধ রাখলেও পুনর্বাসনের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কার্ডধারী এক হাজার চারশ’ জেলে। বরাদ্দ কম থাকার কারণে এসব কার্ডধারী জেলেরা পুনর্বাসনের চাল পাচ্ছেনা বলে জানান স্থানীয় মৎস্য অফিস।
জানাযায়, সরকার ইলিশ প্রজনন মৌসুমের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাস নদীতে জাটকা আহরণ বন্ধ করে বেকার জেলেদের পুনর্বাসনের আওতায় আনে। এতে প্রতিটি জেলে পরিবার প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। জেলেদের অভিযোগ, স্থানীয় মৎস্য অফিস প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে জেলে নন এমন ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। সম্প্রতি আমড়াগাছিয়া ও বড়মাছুয়া ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হলেও হোগলপাতি, গোলবুনিয়া, খেজুরবাড়িয়া, দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের কার্ডধারী বহু জেলে পুনর্বাসনের চাল পাননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কয়েক দফা অভিযোগ করেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী সাপলেজা, আমড়াগাছিয়া, বেতমোর, বড়মাছুয়া ও তুষখালী ইউনিয়নের জেলে পল্লীতে মোট তিন হাজার সাতশ জন কার্ডধারী জেলে রয়েছে। তবে কার্ডধারী জেলেদের সকলকে বরাদ্দ অনুযায়ী পুনর্বাসন সম্ভব হয়নি। মাত্র দুই হাজার তিনশ জেলের পুনর্বাসনে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বাকি এক হাজার চারশ জেলে পুনর্বাসনের বাইরে রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল ফরাজী বলেন, এই দুই ওয়ার্ডে প্রকৃত জেলের সংখ্যা ৪৫০। পুনর্বাসনের চাল বরাদ্দ আছে ২২৫ জন জেলের জন্য। তিনি আরো বলেন, জেলেদের চাল বিতরণের সময় ইউনিয়ন পরিষদকে সম্পৃক্ত করার কথা থাকলেও আমাদের উপেক্ষা করে তাদের খেয়াল-খুশিমত চাল বিতরণ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কার্ডধারী তিন হাজার সাতশ জেলের বিপরীতে দুই হাজার তিনশ জেলের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে বঞ্চিত জেলেদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে কার্ডধারী সকল জেলেকেই পুনর্বাসনের আওতায় আনা প্রয়োজন। চার মাসের বদলে বছরের নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত আট মাস জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রেখে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া দরকার।